শান্ত ফেরার পর মুমিনুল উইকেটে এসে মাত্র এক বল খেলেছেন। এরপরই আলোক স্বল্পতায় খেলা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন আম্পায়াররা। এরপর প্রায় দেড় ঘন্টা অপেক্ষা করেছেন তারা। তবে খেলা চালিয়ে যাওয়ার মতো যথেষ্ট আলো না থাকায় বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে দিনের খেলা এখানেই শেষ করেন আম্পায়াররা।
দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে মুখোমুখি বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড। যেখানে অতি আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন টাইগার ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। এর পরই আলোকস্বল্পতায় খেলা বন্ধ করে দেন আম্পায়াররা।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের সংগ্রহ দুই উইকেটে ৩৮ রান। এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ১৭২ ও নিউজিল্যান্ড করেছে ১৮০ রান। বাংলাদেশের লিড ৩০ রান।
দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন মাহমুদুল হাসান জয় ও জাকির হাসান। তবে ম্যাচের শুরুতেই উইকেট বিলিয়ে দেন জয়। অ্যাজাজ প্যাটেলের ঘূর্ণিতে ২ রানেই থামেন এ ডানহাতি ব্যাটার।
তার বিদায়ে উইকেটে আসেন টাইগার দলপতি নাজমুল হোসেন শান্ত। অতি আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে তিনিও নিজের ইনিংস লম্বা করতে ব্যর্থ হন। টাইগার দলপতিকে থামিয়েছেন কিউই অধিনায়ক টিম সাউদি। আউট হওয়ার আগে ১৫ রান করেন এ বাঁ-হাতি ব্যাটার।
এরপর ক্রিজে আসেন মুমিনুল হক। তিনি উইকেটে আসতেই খেলা বন্ধ ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। পর্যাপ্ত আলোর অভাবে নির্ধারিত সময় থেকে আড়াই ঘন্টা আগেই খেলা বন্ধ হয়। যদি অল্প সময়ের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান হয়, তবে খেলা আবারও মাঠে গড়াবে।
এর আগে বৃষ্টি বাধায় তৃতীয় দিন লাঞ্চের পর ব্যাটিংয়ে নামে কিউইরা। এদিন টাইগারদের চেয়ে ১১৭ রানে পিছিয়ে থেকে উইকেটে আসেন ড্যারিল মিচেল ও গ্লেন ফিলিপস। উইকেটে এসেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন তারা। তবে এ জুটিতে আঘাত হানেন নাঈম হাসান।
নাঈমের আঘাতে ভেঙে যায় মিচেল-ফিলিপসের ৪৯ রানের জুটি। এরপর ক্রিজে আসেন মিচেল স্যান্টনার। তবে থিতু হওয়ার আগেই নাঈমের বলে সোহানের তালুবন্দী হন এ ব্যাটার। এরপর ক্রিজে এসে বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি মিচেল স্যান্টনার (১) ও কাইল জেমিসন (২০)।
অন্যপ্রান্তে ব্যাট হাতে টাইগার বোলারদের তোপ সামলে টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অর্ধ শতক তুলে নেন ফিলিপস। সুযোগ ছিল তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার ছোঁয়ার। কিন্তু শরিফুলের পেসে পরাস্ত হয়ে ৮৭ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তার বিদায়ে ৮ রান লিড নিয়েই গুটিয়ে যায় ব্ল্যাক ক্যাপসরা।বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট শিকার করেন তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :