চার মাস এনসিএ-তে রিহ্যাব। তারপর আইপিএলে একটা ম্যাচ খেলেই ফের হ্যামস্ট্রিং ধরে বসে পড়লেন দীপক চাহার। কয়েকটি ম্যাচ খেলে চোট লখনৌয়ের পেসার মহসিন খানেরও। চেন্নাইয়ের মুকেশ চৌধুরীর কাহিনিও এক। আইপিএলে অনিশ্চিত।
কপিল দেব দিনে ২০ ওভার বল করতেন। চাহাররা চার ওভারও টিকতে পারেন না। শ্রেয়াস আইয়ার ব্যাটার হয়েও কোমরে বারবার কী ভাবে চোট পাচ্ছেন? আর চোট সেরে গেছে, সেই ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কেন আবার চোট? চোটের লম্বা সরণিটা দেখুন- জশপ্রীত বুমরা, প্রসিধ কৃষ্ণা, দীপক চাহার, শ্রেয়াস আইয়ার, মহসিন খান।
তিনজন ট্রেনার, চারজন ফিজিও এবং স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের শীর্ষে নীতিন প্যাটেল। জিমে এখন বিশ্বসেরা ব্র্যান্ডের মেশিন। ফিজিওদের জন্য রিহ্যাবের সেরা ইলেক্ট্রো থেরাপির যন্ত্রপাতি। তাতেও চোটের লম্বা তালিকা।
আমি যে সময় (২০১১ পর্যন্ত) এনসিএ-তে ছিলাম তার তুলনায় ট্রেনিংয়ে বদল এসেছে। আইপিএল বা অন্য টি-২০ ক্রিকেটের প্রয়োজনে। এক্সারসাইজ সায়েন্সের ভাষায় `পাওয়ার ডমিন্যান্ট স্পোর্ট।` সেই পাওয়ারের সাধনায় ক্রিকেটাররা জিম সেশনে বেশি মগ্ন। ঘাটতি থাকছে মাঠের কন্ডিশনিং সেশনে।
ইন্সটাগ্রামে পৃথ্বী শাহ বা দীপক চাহার জিমে বারবেল দিয়ে অলিম্পিক লিফট করছেন, এমন প্রচুর ভিডিয়ো পাবেন। কড়া রোদে স্প্রিন্ট টানছেন, এমন ভিডিয়ো নেই। শটের পাওয়ার বা বলে এক্সপ্রেস গতি আনতে ওজন তুলতে হয় ঠিকই। কিন্তু বারবার ৩০ মিটার ছুটে এসে বল করতে হয় না, বা বারবার রান নিতে দৌড়তে হয় না।
পেশিকে দৌড়ের ধকল সহ্য করাতে হলে দৌড়োতেই হবে। দৌড়ের ঘাটতি থাকলে চোট হতেই পারে। দৌড়ে অনীহা দূর করতেই হয়তো বিরাট কোহলি ইয়ো ইয়ো টেস্ট বাধ্যতামূলক করেছিলেন। বিরাটের রাজত্বের ফিটনেস নিয়ে `জিরো টলারেন্স` এখন অতীত।
ভালো রকম! ওজনদার ক্রিকেটার হলে ফিজিওর দিকে এমন লাল চোখ দেখাবে, যার বার্তা `হয় ফিট লেখো, নয় ফুটে যাও।`
আমার উত্তর, `না, আবার হ্যাঁ। না, কারণ ভারী ওজন দিয়ে অলিম্পিক লিফট করেই বুমরা-সামিরা বলের গতি বাড়িয়েছেন। পেশির পাওয়ার বাড়াতে একটু ভারী তুলতে হয়, অতি ভারী নয়। ৮৫ কেজির বেন স্টোকস ১০০ কেজি দিয়ে ডেড লিফট করলে ঠিক আছে। ৬০ কেজির যুজবেন্দ্র চাহল ১০০ কেজি তুললে চোট লাগতেই পারে।
একুশে সংবাদ.কম/সম
আপনার মতামত লিখুন :