বাংলাদেশ সচিবালয়ের নিরাপত্তা জোরদারে নতুন বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে সচিবালয়ের অভ্যন্তরে সব ধরনের মিছিল, সমাবেশ ও গণজমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি সন্ধ্যা ৬টার পর সেখানে অবস্থান করতে হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. জসিম উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ের সার্বক্ষণিক শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আওতায় মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অননুমোদিত সভা, সমাবেশ বা পেশাজীবী সংগঠনের বৈঠক করা যাবে না।
নির্দেশনাগুলো হলো :
১. বাংলাদেশ সচিবালয়ের অভ্যন্তরে কোনো ধরনের মিছিল, সমাবেশ বা গণজমায়েত নিষিদ্ধ করা হলো।
২. সচিবালয়ের অভ্যন্তরে অবস্থিত বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অননুমোদিত কোনো সভা/সমাবেশ বা কোনো পেশাগত সংগঠন/সমিতির সভা/সম্মেলন/বৈঠক করা যাবে না।
৩. সন্ধ্যা ৬টার পর সচিবালয়ের অভ্যন্তরে জরুরি দাপ্তরিক প্রয়োজনে অবস্থান করতে হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে।
৪. সাপ্তাকিত ছুটি কিংবা অন্য কোনো ছুটির দিনে সচিবালয়ের অভ্যন্তরে দাপ্তরিক প্রয়োজনে অবস্থান করতে হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমতি গ্রহণ করতে হবে।
৫. সচিবালয়ের অভ্যন্তরে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের সচিবালয় প্রবেশ পাস দৃশ্যমান রাখতে হবে।
৬. সচিবালয়ের অভ্যন্তরের কোনো ভবন বা প্রাঙ্গনে কোনরূপ লিফলেট বিতরণ, ব্যানার বা ফেস্টুন কুলানো বা স্থাপন করা যাবে না।
৭. সচিবালয়ে প্রবেশকালীন গাড়ি/ব্যক্তির নিরাপত্তা তল্লাশি দায়িত্বরত নিরাপত্তা বাহিনী নিশ্চিত করবেন।
এছাড়া, সাপ্তাহিক বা সরকারি ছুটির দিনে জরুরি দাপ্তরিক প্রয়োজনে সচিবালয়ে অবস্থান করতে হলে পূর্বানুমতি নিতে হবে। সচিবালয়ের অভ্যন্তরে কর্মরত সবাইকে প্রবেশপাস দৃশ্যমান রাখতে হবে এবং কোনো ভবন বা প্রাঙ্গণে লিফলেট বিতরণ, ব্যানার বা ফেস্টুন স্থাপন নিষিদ্ধ থাকবে।
গাড়ি ও ব্যক্তির প্রবেশকালে নিরাপত্তা তল্লাশি নিশ্চিত করার জন্য দায়িত্বরত বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এসব বিধিনিষেধ কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।
একুশে সংবাদ/এন.ট/এ.জে