এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত ফর্ম বজায় রেখেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক লাওসকে ৩-১ গোলে হারানোর পর গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে পূর্ব তিমুরকে ৮-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে লাল-সবুজের মেয়েরা। গোল উৎসবের এই ম্যাচে তৃষ্ণা হ্যাটট্রিক করেছেন। বাকি গোলগুলো করেছেন সাগরিকা, নবিরুন, শিখা, শান্তি ও মুনকি।
দুই অর্ধেই চারটি করে গোল পায় বাংলাদেশ। ইনজুরি সময়ে তৃষ্ণার গোলে লিড নেয় দল। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৩ ও ৮৩ মিনিটে আরও দুইবার জালের দেখা পেয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তিনি। তৃতীয় গোলটিতে অবদান রাখেন সাগরিকা, যিনি ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষককে কাটিয়ে বল প্লেসিং করে তৃষ্ণার সামনে সাজিয়ে দেন।
৭২ মিনিটে একক প্রচেষ্টায় সাগরিকা নিজেও অসাধারণ গোল করেন। মধ্য মাঠ থেকে বল পেয়ে ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোলরক্ষকের ওপর দিয়ে বল পাঠান জালে। ম্যাচের সবচেয়ে আকর্ষণীয় মুহূর্ত আসে ৩২ মিনিটে, যখন শান্তি মারডির কর্নার কিক সরাসরি জালে প্রবেশ করে—যা ‘অলিম্পিক গোল’ হিসেবে পরিচিত।
প্রথমার্ধে বাংলাদেশের চারটি গোলের মধ্যে তিনটিই এসেছে কর্নার থেকে। শান্তির কর্নারে নবিরুন হেডে একটি গোল করেন, আর স্বপ্না রাণীর কর্নার থেকে শিখার হেডে আরেকটি গোল হয়। দ্বিতীয়ার্ধে সব গোলই আসে ফিল্ড প্লে থেকে, যা আফিদাদের বহুমুখী আক্রমণভঙ্গির প্রমাণ।
দুই ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের পয়েন্ট ৬, গোল ব্যবধান +১০। গ্রুপের শেষ ম্যাচে প্রতিপক্ষ শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়া, যাদের বিপক্ষে পয়েন্ট পাওয়া কঠিন হবে। তাই বাংলাদেশের লক্ষ্য এখন ভালো গোল ব্যবধান ধরে রেখে গ্রুপ রানার্সআপ হওয়া এবং সেরা তিন রানার্সআপের মধ্যে জায়গা করে আগামী বছরের মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন।
একুশে সংবাদ/এ.জে