চার চারটা ক্যাচ মিস করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল্ডাররা। কিন্তু সুযোগ পেয়েও সেটা কাজে লাগাতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। তাতে ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ফিফটি হাঁকালেও ক্যারিবিয়ানদের দেয়া ১৫০ রানের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি স্বাগতিক বাংলাদেশ। ১৪ রানে হেরে এক ম্যাচ থাকতে সিরিজও হেরেছে।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান তোলে অতিথিরা। জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রানেই থামে বাংলাদেশের ইনিংস।
১৫০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সাবধানী সূচনা করেন দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও সাইফ হাসান। তবে ইনফর্ম সাইফ ১১ বলে ৫ রান করে হোল্ডারের বলে ধরা পড়েন কিংয়ের হাতে। এরপর লিটন দাস আসেন তিনে, ১৭ বলে ২৩ রান করে ফিরেন তিনিও।
৪৮ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর তাওহিদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস গড়ার চেষ্টা করেন তানজিদ তামিম। হৃদয় ১৪ বলে ১২ রান করে আউট হওয়ার পর ফিফটি তুলে নেন তানজিদ। ৩৮ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করার পর শেষ পর্যন্ত ৪৮ বলে ৬১ রানে থামেন তিনি।
তামিমের বিদায়ের পরই রানচাপ বাড়তে থাকে। জাকের আলি প্রচুর ডট বল খেলে ১৮ বলে ১৭ রান করেন। শেষ দিকে শামিম ও রিশাদ দ্রুত আউট হলে জয়ের আশা ক্ষীণ হয়ে যায় বাংলাদেশের।
এর আগে বল হাতে ইনিংস শুরু করেন তানজিম হাসান সাকিব। তার প্রথম বলেই ব্রেন্ডন কিংয়ের ক্যাচ ফেলেন উইকেটরক্ষক লিটন দাস। তবে পরের ওভারেই তাসকিন আহমেদ ফিরিয়ে দেন কিংকে।
প্রথম উইকেট হারানোর পর আলিক আথানজে ও শাই হোপ দ্বিতীয় উইকেটে ১০৫ রানের জুটি গড়ে দলকে দৃঢ় অবস্থানে নিয়ে যান। আথানজে ৩৩ বলে করেন ৫২ রান, আর হোপের ব্যাটে আসে ৫৫ রান। তবে এই জুটি ভাঙতেই ধস নামে ক্যারিবিয়ান ইনিংসে।
বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান, তিনি ২১ রানে নেন ৩ উইকেট। নাসুম আহমেদ ও রিশাদ হোসেনের ঝুলিতে যায় দুটি করে উইকেট, আর একটি নেন তাসকিন আহমেদ।
এই জয়ের ফলে তিন ম্যাচ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ ম্যাচটি হবে শুক্রবার একই ভেন্যুতে।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

