তিন অক্ষরের ছোট্ট একটি শব্দ — “শিক্ষক”। কিন্তু এই শব্দের ভেতরেই নিহিত রয়েছে সমাজ ও সভ্যতা নির্মাণের মূল ভিত্তি। শিক্ষকের আলোয় আলোকিত হয় সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্র।
একটি দেশের অগ্রযাত্রায় শিক্ষকের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই বলা হয়, “শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড” — আর শিক্ষক সেই মেরুদণ্ড নির্মাণের কারিগর। শিক্ষকেরাই একমাত্র ব্যক্তি, যারা অন্যের সন্তানের সাফল্যে নিজের গর্ব খুঁজে পান। আজ সেই মহান পেশার মানুষদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানোর দিন — বিশ্ব শিক্ষক দিবস।
পাঁচটি শব্দের ছোট একটি বাক্য — “শিক্ষকতা পেশা, মিলিত প্রচেষ্টার দীপ্তি” — কিন্তু এর অন্তর্নিহিত অর্থ অনেক গভীর। শিক্ষকদের হাত ধরেই গড়ে ওঠে শিক্ষা, নৈতিকতা, মানবিকতা ও দায়িত্ববোধ। সেই অবদানকে স্মরণ করতে এ বছরও বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব শিক্ষক দিবস।
১৯৯৩ সালে প্যারিসে ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ সম্মেলনে ৫ অক্টোবরকে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ ঘোষণা করা হয়। ১৯৯৪ সালে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিকভাবে দিবসটি পালিত হয়। এরপর ১৯৯৫ সাল থেকে নিয়মিতভাবে সদস্য দেশগুলোতে দিনটি উদযাপনের প্রথা চালু হয়।
প্রতি বছর ইউনেস্কোর তত্ত্বাবধানে আলাদা প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করে দিবসটি পালন করা হয়, যেখানে শিক্ষার মানোন্নয়ন, শিক্ষকের মর্যাদা ও পেশাগত উন্নয়নকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার এই দিনটি পালন করা হচ্ছে। শিক্ষক সংগঠন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভা, র্যালি এবং সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে বিশ্ব শিক্ষক দিবস ২০২৫।
একুশে সংবাদ/এ.জে