AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী
ইইউ থেকে দীর্ঘ ৪ দশকের বন্ধন ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে ব্রিটেন

ব্রেক্সিটের পর জাপান হবে ব্রিটেনের বড় বিনিয়েগকারী দেশ


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০৪:১৪ পিএম, ৩ ডিসেম্বর, ২০২০
ব্রেক্সিটের পর জাপান হবে ব্রিটেনের বড় বিনিয়েগকারী দেশ

প্রায় এগার মাস ‘ট্রানজিশনাল পিরিয়ড’ কাটিয়ে শেষ মূহুর্তে বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছার চূড়ান্ত প্রয়াস হিসেবে এটাকে দেখা হচ্ছে। তবে ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মধ্যস্থতাকারীরা আলোচনায় দৃশ্যত পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জনে সন্দিহান বলে মনে হচ্ছে।

ব্রেক্সিট বিষয়ে ইইউর প্রধান সমন্বয়ক মিশেল বার্নিয়ার শনিবার ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনে পৌঁছেছেন। আগের দিন শুক্রবার রাতে বার্নিয়ার মিডিয়ার কাছে বলেছেন, লন্ডনে আবারও আসতে পারায় তিনি অনেক খুশি এবং ধৈর্য ও সংকল্প নিয়ে বাণিজ্য চুক্তির সাফল্য অর্জন করতে চান। সীমান্তে মাছ ধরা, রাষ্ট্রীয় সহায়তা ও ভবিষ্যতে যেকোনো বিরোধ সমাধানের উপায় নিয়েই আলোচনায় অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলে তিনি জানান। অবশ্য বার্নিয়ার কিছু দিন আগে জানিয়েছেন, ইইউ কোনো অবস্থায় একক বাজারের অখণ্ডতা নিয়ে আপোস করবে না।

একক বাজার ও শুল্ক এলাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ

ব্রিটেনের প্রধান সমন্বয়ক ডেভিড ফ্রস্ট এবং ইইউর প্রধান সমন্বয়ক মিশেল বার্নিয়ার আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে একটি চুক্তিতে পৌঁছার চেষ্টা করছেন। উভয়পক্ষই একে অপরকে প্রধান প্রধান বিষয়ে সমঝোতার আহ্বান জানিয়েছেন।মিশেল বার্নিয়ার ইইউ এমইপিদের বলেছেন, ব্রেক্সিট আলোচনায় তিনি চার দিনের মধ্যে মেক-অর-ব্রেক সিদ্ধান্তে পৌছার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। ফলে আরও আলোচনার উপযোগিতা সম্পর্কে ইইউ সদস্য দেশগুলির মধ্যে সংশয় বাড়ছে।

ব্রেক্সিটের অন্তর্বর্তীকালীন সময় ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছতে না পারলে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে এবং ভোক্তা পর্যায়ে খরচ বাড়বে। তবে দুপক্ষই বলে আসছেন, তারা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়ম মেনে এই দুই অংশের মধ্যকার সমঝোতায় আসতে অনেক কিছুতেই ছাড় দিতে রাজি।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, চুক্তির বিষয়টি নির্ভর করছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর। এখানে অবশ্যই একটি চুক্তিতে আসা সম্ভব যদি ইউরোপীয় ইউনিয়ন চায়। তবে ডিসেম্বরের শেষ হতে যাওয়া সময়সীমার মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন করতে গেলে এখনও বিদ্যমান গুরুত্বপূর্ণ বিরোধ বিষয়গুলোতে উভয় পক্ষ একমতে আসতে হবে বলেও জানান তিনি।

ইইউ প্রতিনিধিদলের প্রধান বার্নারের এক সদস্য করোনার কারণে সেলফ আইসোলেশনে থাকায় তা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হয়েছে। ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র সচিব প্রীতি প্যাটেল শনিবার বলেছেন, আমরা এই আলোচনা অব্যাহত রাখব যাতে জনগনের সাথে প্রতিশ্রুত চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করতে পারি।

এদিকে ব্রিটেনের প্রধান সমন্বয়ক লর্ড ডেভিড ফ্রস্ট জানিয়েছেন, চুক্তি সম্পন্ন করতে তিনি তার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। 

অপরদিকে ব্রিটেন ও জাপান আনুষ্ঠানিকভাবে একটি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ব্রেক্সিটের পর এটি ব্রিটেনের প্রথম বড় চুক্তি। এ বিষয়ে গত মাসেই আলোচনা চূড়ান্ত হয়। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৬ সাল পর্যন্ত জাপানের গাড়ির ওপর ব্রিটিশ শুল্ক অপসারণ করার বিনিময়ে জাপানে প্রায় সকল পণ্যের রপ্তানি শুল্কমুক্ত হবে।

ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক লিজ ট্রস এটিকে একটি ‘গ্রাউন্ড ব্রেকিং চুক্তি’ বলে অভিহিত করেন। দুই দেশ একটি বিস্তৃত চুক্তিতে পৌঁছেছে। এতে উভয় দেশের মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার বাণিজ্য বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে চুক্তিটি কার্যকর হবে। ব্রেক্সিট-পরবর্তী সময়ে বিদ্যমান বিনিয়োগ বজায় রাখার জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যনীতি পরামর্শক এবং সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউকে ট্রেড পলিসি পর্যবেক্ষণের সহযোগী মিনাকো মরিটা-জায়েগার বলেন, জাপানের সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ ব্রিটেনের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ব্রেক্সিট-পরবর্তী সময়ে তার বিদ্যমান বিনিয়োগ বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

একুশে সংবাদ/এআরএম

Link copied!