এখন থেকে কুয়েতে মৃত্যুবরণকারী বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মীদের মরদেহ বাংলাদেশে পাঠানোর খরচ নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এখন থেকে অবৈধ বা আকামাবিহীন বাংলাদেশি কর্মীদের মরদেহ দেশে পাঠাতে আর চাঁদা তুলতে হবে না, দূতাবাসই এই খরচ বহন করবে।
গত রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কুয়েতের শ্রম আইন অনুযায়ী ১৮ নম্বর ভিসায় কর্মরত কোনো বাংলাদেশি কর্মী মারা গেলে তার মরদেহ দেশে পাঠানোর সম্পূর্ণ খরচ বহন করবে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান।
একইভাবে, ২০ নম্বর ভিসায় ব্যক্তিগত কাফিলের অধীনে কর্মরত কোনো কর্মী মারা গেলে সেই খরচ বহন করার দায়িত্ব কাফিলের।
কিন্তু এতদিন আকামাবিহীন বা অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশি কর্মীর মৃত্যু হলে তার মরদেহ দেশে পাঠানোর জন্য সহকর্মীরা বা কমিউনিটির লোকজন মিলে চাঁদা তুলে সেই খরচ জোগাড় করতেন। দূতাবাস এই বিষয়টি লক্ষ্য করে নতুন এই নির্দেশনা জারি করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কুয়েতে মৃত্যুবরণকারী কোনো বাংলাদেশি কর্মীর যদি কাফিল বা নিয়োগকর্তা না থাকে, তবে তার মরদেহ বাংলাদেশে প্রেরণের খরচ দূতাবাস আর্থিক সহায়তা দিয়ে বহন করবে।
তাই এখন থেকে আকামাবিহীন কোনো বাংলাদেশি কর্মীর মৃত্যু হলে তার মরদেহ দেশে পাঠানোর জন্য চাঁদা না তুলে সরাসরি কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে লিখিত আবেদন করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
একুশে সংবাদ/কু.প্র/এ.জে