জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়া হাতে পেয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। তবে খসড়ায় বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া স্পষ্টভাবে উল্লেখ না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
রোববার (১৭ আগস্ট) এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন বলেন, “জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়ায় বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া বলা হয়নি। আমরা এটা নিয়ে হতাশ। নোট অব ডিসেন্টে যে বিষয়গুলো রয়েছে, তা কীভাবে কার্যকর হবে তাও উল্লেখ নেই। মৌলিক সংস্কারের অংশ উচ্চকক্ষে পিআর (প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) নিয়ে কোনো দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়নি।”
তবে সনদের সাংবিধানিক ও আইনি বৈধতা নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না—এমন প্রস্তাবকে ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেন তিনি। তার ভাষায়, “কোনো অপশক্তি যেন জুলাই সনদ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে না পারে, তাই এই বিধানের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।”
একইসঙ্গে সনদের ব্যাখ্যা আপিল বিভাগের কাছে ন্যস্ত রাখার দাবি জানান এনসিপির এই নেতা।
উচ্চকক্ষে প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতির দাবি পুনর্ব্যক্ত করে জাবেদ রাসিন বলেন, “নির্বাচনে উচ্চকক্ষে পিআর থাকা জরুরি। তবে নিম্নকক্ষে পিআর চালু হলে কোয়ালিশন সরকার গঠনের ঝুঁকি থাকবে, যা সরকারকে দুর্বল করতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনের আগেই উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতির বিষয়টি সুরাহা করা প্রয়োজন।”
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (১৬ আগস্ট) জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়া পাঠায়। খসড়ায় সনদের পটভূমি, রাজনৈতিক ঐকমত্য হওয়া ৮৪টি বিষয় এবং বাস্তবায়নের জন্য আটটি অঙ্গীকারনামা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে বাস্তবায়নের রূপরেখা সুনির্দিষ্ট করা হয়নি।
একুশে সংবাদ/স.ট/এ.জে