AB Bank
  • ঢাকা
  • সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

একই ব্যক্তি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকায় আপত্তি দেখছে না বিএনপি


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৯:১৫ পিএম, ২০ জুলাই, ২০২৫

একই ব্যক্তি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকায় আপত্তি দেখছে না বিএনপি

দলীয় প্রধান, প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা—একই ব্যক্তি এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকতে পারবেন কি না, সে বিষয়ে কোনো আপত্তি নেই বলে জানিয়েছে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের প্রশ্নে এই বিষয়ে কোনো বাধ্যবাধকতার প্রয়োজন নেই বলে বিএনপি মনে করে।

রবিবার (২০ জুলাই) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় দফার ১৫তম দিনের সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা ও দলীয় প্রধান হতে পারবেন কি না—এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের মতামত হলো, এতে কোনো আইনি বা সাংবিধানিক বাধা থাকার প্রয়োজন নেই। এটি প্রতিটি দলের গণতান্ত্রিক অধিকার। সংসদীয় দলের সিদ্ধান্তেই ঠিক হবে কে হবেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, কমিশন প্রস্তাব দিয়েছিল, তিনটি পদে তিনজন থাকবেন। তবে বিএনপি মনে করে, প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা একই ব্যক্তি হতে পারেন, এটি স্বাভাবিক। তবে একই সঙ্গে দলীয় প্রধান থাকা যাবে কি না, তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও বিএনপির অবস্থান পরিষ্কার—এখানে বাধ্যবাধকতার দরকার নেই।

যুক্তরাজ্যের দৃষ্টান্ত টেনে তিনি বলেন, সেদেশে সাধারণত দলের প্রধানই প্রধানমন্ত্রী হন। এটি নির্বাচন নয়, সংসদীয় দলের সিদ্ধান্তের বিষয়। তাই এমন বাধ্যবাধকতা গণতান্ত্রিক চর্চার পরিপন্থী হবে।

তিনি আরও বলেন, শুধু দলীয় প্রধান হওয়ার কারণে কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না—এমন বিধান গণতন্ত্রের জন্য সঠিক নয়। দলীয় প্রধান চাইলে প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন, আবার সংসদীয় দল চাইলে অন্য কাউকে মনোনয়ন দিতে পারবে—এই সুযোগ খোলা রাখা উচিত।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিএনপির অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, আদালতের রায়ের ওপর আমরা আস্থা রাখি। আদালতের রায় অনুকূলে না এলে জাতীয় সংসদ চাইলে আইন প্রণয়ন করে এ ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে পারে।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল হলেও বিষয়টি আপিল বিভাগের রিভিউ পর্যায়ে বিচারাধীন। বিএনপি বিশ্বাস করে, আদালতের সিদ্ধান্তেই এটি পুনর্বহাল হতে পারে।

তিনি জানান, আজকের আলোচনায় দু’টি বিষয় উঠে এসেছে—একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার, অন্যটি এক ব্যক্তি তিন পদে থাকা।

বিচার বিভাগকে বিতর্কের বাইরে রাখার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য রয়েছে বলে জানান তিনি। কমিশন এ বিষয়ে একটি খসড়া তৈরি করেছে, যা নিয়ে দলগুলোকে মতামত দিতে বলা হয়েছে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাঠামো বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপি ও অন্যান্য দল কয়েকটি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে। কমিশন সেগুলো বিবেচনা করে খসড়া করেছে। সংশোধনী থাকলে জমা দেওয়া যাবে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠনের প্রস্তাবও এসেছে বলে তিনি জানান। এই কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা, বিরোধীদলীয় হুইপ এবং তৃতীয় বৃহত্তম দলের একজন প্রতিনিধি থাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

এই কমিটি বিভিন্ন পক্ষের কাছ থেকে নাম আহ্বান করবে, শর্টলিস্ট করবে, প্রয়োজনে র‌্যাংকড চয়েস ভোটিংয়ের মাধ্যমে নির্বাচন হতে পারে।

নির্বাচনী সময়ের মেয়াদ আগের মতো ৯০ দিন থাকবে, জরুরি পরিস্থিতিতে ৩০ দিন বাড়ানোর সুযোগ থাকবে বলে জানান বিএনপি নেতার।

তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু হলে প্রধান উপদেষ্টার ক্ষমতা সীমিত থাকবে, তিনি প্রধানমন্ত্রীর মতো পূর্ণ ক্ষমতা নিয়ে নয়, বরং রুটিন দায়িত্বে থাকবেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের বাস্তবতা ও আন্তর্জাতিক গণতান্ত্রিক রীতিনীতি বিবেচনায় সবার সঙ্গে আলোচনা করে যৌক্তিক সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব বলেই আমরা বিশ্বাস করি।

 

একুশে সংবাদ/ঢ.প/এ.জে

Link copied!