কক্সবাজারের চকরিয়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র গাড়িবহর আটকে রাখার অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ। শনিবার (১৯ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ফেসবুক পোস্টে হান্নান মাসউদ লেখেন, “চকরিয়ায় এনসিপির গাড়িবহর আটকে রেখেছে বিএনপির কর্মীরা। তারা গাড়িবহর থামিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্যের নামে স্লোগান দিচ্ছে। এর আগেই লোহাগড়ায় এনসিপির ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।”
তিনি আরও লেখেন, “যেভাবে আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছর ধরে করে আসছে, আজ আপনারাও তাই করছেন। আওয়ামী লীগের পরিণতি দেখে শিক্ষা না নিলে একই পরিণতির জন্য আপনাদেরও অপেক্ষা করতে হবে।”
শনিবার দুপুরে কক্সবাজার শহরের পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ উপলক্ষে পথসভা করে এনসিপি। সেখানে দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেন বলে অভিযোগ করে বিএনপি।
এর প্রতিবাদে চকরিয়ায় বিক্ষোভ মিছিল করেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। অভিযোগ উঠেছে, বিক্ষোভের সময় এনসিপির একটি মঞ্চ ভাঙচুর করা হয়। পাশাপাশি এনসিপির নেতা-কর্মীদের বান্দরবানে যাত্রার পথ আটকে দেওয়া হয়।
এনসিপির কক্সবাজার কর্মসূচির পর জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে ছাত্রদল একটি বিক্ষোভ মিছিল করে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফাহেমুর রহমান বলেন, “বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ায় আমরা গভীরভাবে আহত। এর তীব্র নিন্দা জানাই। এই বক্তব্য জাতীয়তাবাদী চেতনাকে অপমান করার শামিল।”
এ ঘটনায় বিএনপি কর্মীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান কক্সবাজার জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইউসূফ বদরী।
এনসিপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হামলার পর তাদের নেতা-কর্মীরা পুলিশের নিরাপত্তায় রয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এনসিপি নেতা এসএম সুজাউদ্দিন।
এ ঘটনার পর চকরিয়ায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এর আগে গত বুধবার গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচিতে হামলার ঘটনা ঘটে। সেখানে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হন। পরে প্রশাসন পুরো জেলায় কারফিউ জারি করে।
একুশে সংবাদ/ই.ট / এ.জে