আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী প্রায় ১০ লাখ সরকারি চাকরিজীবীর ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
ইসি ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পাশাপাশি অন্যান্য কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে সিইসি বলেন, “ভোটার তালিকা হালনাগাদে আমরা প্রায় ২১ লাখ মৃত ভোটার শনাক্ত করেছি। এর মধ্যে অনেকেই অতীতে ভোট দিয়ে যেতেন। এবার তাদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও সুন্দর নির্বাচন আয়োজনের অঙ্গীকার নিয়ে আমরা কাজ করছি। গণমাধ্যমের সহায়তা ছাড়া সমতাপূর্ণ পরিবেশ তৈরি সম্ভব নয়। তাই আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো রোধে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার দায়িত্বশীল ভূমিকা দরকার।”
সরকারি কর্মচারীদের ভোটাধিকার প্রসঙ্গে সিইসি জানান, “প্রবাসীসহ যারা নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেন, তাদের ভোটের ব্যবস্থা করা হবে। প্রায় ১০ লাখ সরকারি চাকরিজীবী এবার ভোট দিতে পারবেন। সবার সহযোগিতায় আমরা আয়নার মতো স্বচ্ছ একটি নির্বাচন আয়োজন করতে চাই।”
ইসির সূচি অনুযায়ী, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় টেলিভিশন মিডিয়ার সঙ্গে এবং দুপুর আড়াইটায় প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাদা দুটি অধিবেশনে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। দুই দফায় প্রায় ৫০ জন সংবাদকর্মী সংলাপে অংশ নেন।
আগামীকাল (৭ অক্টোবর) নারী নেত্রী, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশন। এরপর ধারাবাহিকভাবে রাজনৈতিক দল ও জুলাই আন্দোলনের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে ২৮ সেপ্টেম্বর সুশীল সমাজ, শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে প্রথম দফায় সংলাপ শুরু করে ইসি। তবে সেদিন আমন্ত্রিতদের মধ্যে অনেকেই উপস্থিত হননি।
একুশে সংবাদ/এ.জে