নাটোরের বড়াইগ্রামে মমতাজ বেগম (৬৯) নামের এক বৃদ্ধাকে মুখমণ্ডল থেঁতলে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রবিবার (৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে আটটার দিকে নিজ বাড়িতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত মমতাজ বেগম বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া পৌর শহরের সরদারপাড়া মহল্লার মৃত শফিউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারের সহধর্মিণী।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, স্বামীর মৃত্যুর পর গত একযুগ ধরে মমতাজ বেগম একাই ওই বাড়িতে বসবাস করতেন। তার এক ছেলে জাকির হোসেন মঞ্জু বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র সংলগ্ন বাবার আরেকটি বাড়িতে থাকেন এবং এক মেয়ে বেবি আক্তার পরিবার নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন। মায়ের দেখাশোনার জন্য তিনি দুইজন গৃহকর্মী নিয়োগ দিয়েছিলেন।
প্রতিদিনের মতো রবিবার সন্ধ্যায় গৃহকর্মী সুফিয়া বেগম (৪০) কাজ সেরে চলে যান। রাতে প্রহরার দায়িত্বে থাকা কাজী আবু শামা (৬১) এশার নামাজ শেষে বাড়িতে ফিরে এসে দেখেন, মমতাজ বেগম রক্তাক্ত অবস্থায় নিজ ঘরের মেঝেতে খাটের নিচে পড়ে আছেন। তার মুখমণ্ডল থেঁতলানো অবস্থায় দেখে তিনি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন এবং মমতাজ বেগমকে উদ্ধার করে দ্রুত বনপাড়া পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ সময় দেখা যায়, মমতাজ বেগমের শরীরে থাকা বেশ কয়েকটি স্বর্ণালংকার অনুপস্থিত। পরিবারের ধারণা, ফাঁকা বাড়িতে ডাকাতির উদ্দেশ্যে প্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করেছে।
খবর পেয়ে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহকর্মী কাজী আবু শামা ও সুফিয়া বেগমকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সুমন চন্দ্র দাস বলেন, “ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড। একজন বৃদ্ধাকে এভাবে হত্যা করা অত্যন্ত দুঃখজনক। ঘটনাটির রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
একুশে সংবাদ/এ.জে