১০০ সদস্যবিশিষ্ট উচ্চকক্ষ গঠনের প্রস্তাবে প্রাপ্য ভোটের ভিত্তিতে আসন বণ্টনের (পিআর পদ্ধতি) সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) অনুষ্ঠিত কমিশনের বৈঠকে দীর্ঘ আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে বিএনপি ও তাদের ঘনিষ্ঠ কয়েকটি দল। তাদের মতে, উচ্চকক্ষে সদস্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে জাতীয় নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত আসনের সংখ্যা বিবেচনায় নেওয়া উচিত।
কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাসদ-ও উচ্চকক্ষের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং তারা এ বিষয়ে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়েছে।
কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, উচ্চকক্ষে মোট ১০০ জন সদস্য থাকবেন, যাদের মনোনয়ন হবে প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক ভিত্তিতে— অর্থাৎ সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (Proportional Representation) অনুযায়ী দলগুলোকে আসন ভাগ করে দেওয়া হবে।
এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জাতীয় নির্বাচনে প্রাপ্ত মোট ভোটকে কেন্দ্র করে উচ্চকক্ষের প্রতিনিধিত্ব নির্ধারিত হবে, যা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতাভিত্তিক পদ্ধতির বাইরে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক কাঠামো গঠনের পথে নতুন দিক নির্দেশ করে।
একুশে সংবাদ/স.ট/এ.জে