AB Bank
ঢাকা শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বৃষ্টির জন্য দেশজুড়ে হাহাকার


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৪:৩০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
বৃষ্টির জন্য দেশজুড়ে হাহাকার

চলমান তাপদাহ থেকে সহসাই মিলছে না মুক্তি, বরং তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া অফিস। সিলেট বাদে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বুধবার সন্ধ্যা অব্দি বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের মতো ঢাকাতেও তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। এই অবস্থায় একটু বৃষ্টির জন্য দেশজুড়ে হাহাকার চলছে।

প্রখর রোদ আর গরমের মধ্যে খোলা মাঠে একটু বৃষ্টির জন্য মুসল্লিদের ফরিয়াদ। তাপদাহ থেকে মুক্তি ও বৃষ্টি চেয়ে মঙ্গলবার সকালে ঢাকার আফতাবনগরে বিশেষ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। দুই রাকাত নামাজ শেষে একটু বৃষ্টির জন্য হাত তোলেন মুসল্লিরা।

বৃষ্টির জন্য দেশজুড়েই চলছে এমন হাহাকার। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলমান তাপদাহে দেশের মধ্যে যেন মরুর গরম নেমেছে। তাপমাত্রার পারদ প্রায় ছাড়াচ্ছে চল্লিশের ঘর। সোমবার চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যেই আরও তিন দিনের সতর্কবার্তা জারি করে আবহাওয়া অফিস। দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসময় জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।

যশোর, চুয়াডাঙ্গাসহ তাপদাহপ্রবণ এলাকাগুলোতে রোববারের চেয়ে সোমবার তাপমাত্রা কিছুটা কমেছিল। সাথে ঢাকার তাপমাত্রাও এদিন নেমেছিলো ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে বলছে, মঙ্গলবার ও বুধবার তাপপ্রবাহের তীব্রতা আবারও বাড়বে। 
আগের ২৪ ঘণ্টায় সিলেট ছাড়া দেশের অন্য কোনো বিভাগে বৃষ্টিও হয়নি। ফলে পূর্বাভাসের আশঙ্কাই সত্যি হচ্ছে।  

এদিকে রাজশাহীসহ উত্তরের জেলাগুলোর উপর দিয়ে বইছে তীব্র তাপদাহ। মধ্য এপ্রিল থেকে চলমান এই তাপদাহের কারণ হিসেবে অঞ্চলভিত্তিক ভৌগোলিক অবস্থান ও জলবায়ুর পরিবর্তন অন্যতম বলছেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স বিভাগের ডিন ড. রহিদুল ইসলাম বলেন, বঙ্গোপসাগরের পশ্চিম ঘাট হচ্ছে চুয়াডাঙ্গা, ওই অঞ্চল দিয়ে মৌসুমী বাতাস আমাদের দেশে প্রবেশ করে। সাগরের উত্তপ্ত বা উষ্ণ বায়ুর কারণে তাপমাত্রা বেশি হয়।      

প্রচণ্ড গরমে ক্ষতির মুখে পড়েছে এসব অঞ্চলের আম, লিচুসহ মৌসুমী ফলের আবাদ। উত্তরাঞ্চলে ধান চাষে সেচ ব্যবস্থা সচল রাখার প্রতি বাড়তি নজর দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। শুধুমাত্র পেটের তাগিদে তীব্র তাপদাহ উপেক্ষা করে নিজের পেশা চালিয়ে যাচ্ছেন।

পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, শুধু উত্তরাঞ্চলই নয় ‘এল নিনোর’ প্রভাবে এ বছর তাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে ভারত ও আরব মহাসাগর উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোতে। এছাড়া অঞ্চলভিত্তিক ভৌগোলিক অবস্থানের পাশাপাশি গাছ কাটা ও অপরিকল্পিত নগরায়ণও তাপ বেড়ে যাওয়ার জন্য দায়ী।

এদিকে কাঠ ফাটা এই গরমে বিপাকে পড়েছেন আম ও লিচু চাষিরা। প্রভাব পড়েছে ধান চাষেও। তারা বলছেন, এবছর এমনিতেই গাছে মুকুলের সংখ্যা কম ছিলো। এখন তীব্র তাপদাহে ফল ঝরে পড়ছে।

চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় শনিবার; সেদিন যশোরে থার্মোমিটারের পারদ উঠেছিল ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সোমবার সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো খুলনায়। এদিন বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোর ও চুয়াডাঙ্গায়। আর খুলনায় ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা

 

Link copied!