ড্রিমলাইনার-৭৮৭ মডেলের উড়োজাহাজের বিষয়ে বোয়িং এর সাবেক প্রকৌশলীর পক্ষ থেকে উত্থাপিত কারিগরি ত্রুটির বিষয়ে বোয়িং কোম্পানির সাথে দ্রুত কথা বলার জন্য বিমানকে নির্দেশ দিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি।
২০ এপ্রিল ২০২৪ (শনিবার) বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল আজিমের সাথে টেলিফোনে আলাপকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
মন্ত্রী বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে থাকা ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজগুলো নতুন হওয়ায় আপাতত উত্থাপিত কারিগরি সমস্যা নিয়ে আমাদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে ভবিষ্যতের কথা ভেবে এবং যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে কারিগরি বিষয়গুলো নিয়ে উড়োজাহাজ তৈরিকারী কোম্পানি বোয়িং এর সাথে দ্রুত কথা বলে বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন। কারণ বাংলাদেশ সরকার এবং বিমানের কাছে যাত্রীদের নিরাপত্তাই মুখ্য বিষয়।
এসময় বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জানান কারিগরি ও মেইনটেনেন্স সংক্রান্ত বিষয়ে বোয়িং এর সাথে বিমানের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ বিদ্যমান। দ্রুতই এ বিষয়ে অধিকতর তথ্য জেনে মন্ত্রীকে অবহিত করবেন।
উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল সকালে পড়ে গিয়ে মুহাম্মদ ফারুক খান কোমরে আঘাত পান। পরবর্তীতে তাঁকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে হিপ জয়েন্টে ফ্র্যাকচার ধরা পরে। তখন ডাক্তারগণ তাঁকে দ্রুত অপারেশনের মাধ্যমে হিপ জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট করার পরামর্শ দেন। এসময়ে তাঁর পরিবারের কিছু সদস্যসহ অন্য অনেকেই বিদেশে গিয়ে এই অপারেশন করার ব্যাপারে কথা বললেও মন্ত্রী দেশীয় ডাক্তারগণের উপর আস্থা রেখে সিএমএইচে অপারেশন করার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। পরবর্তীতে ২ এপ্রিল তাঁর হিপ জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্টের সফল অপারেশন হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতাল থেকে অবমুক্ত হয়ে ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসাধীন থাকার এই সময়ে মন্ত্রী বাসা থেকেই নথি নিস্পন্ন করা সহ সকল দাপ্তরিক কাজ পরিচালনা করছেন।
একুশে সংবাদ/এস কে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

