নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে মনোনয়ন নিয়ে শেষ সময়ে বেড়েছে মানসিক চাপ। সাধারণত নেতা-কর্মীদের বেড়েছে আগ্ৰহ।কে পাবেন মনোনয়ন সে হিসেব আগেই ঠিক করে রেখেছেন দলের হাই কমান্ড। এখন আসন ভিত্তিক নেতাদের ডেকে দেওয়া হচ্ছে নানা ধরনের নির্দেশনা। কেন্দ্র হতে নির্ধারিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার কঠোর নির্দেশের পাশাপাশি,কোন বিরোধের নিষেধ করা হয়েছে।
কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা হচ্ছে যে নির্বাচন ঘিরে ষড়যন্ত্র হচ্ছে,এখন নিজেদের মধ্যে বিরোধ থাকলে এটা দলের ভেতরে প্রভাব ফেলবে। বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীর অনুসারীরা ‘আল হামদুলিল্লাহ’ লিখে পোস্ট করে নিজেদের পক্ষে জানান দিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে চলছে শেষ সময়ের হিসেব। এ সময়টাকে কঠিন সময় বলেও মনে করছেন অনেকে। তারা ভাবছেন এ সময়ে যারা দলকে ম্যানেজ করতে পারবে তারাই পাবেন মনোনয়ন। যদিও দল বলছে তারা বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত নিয়েই মনোনয়ন দিবেন।
বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে, জনপ্রিয়তার শীর্ষে,প্রতি আসনে ২ থেকে ৩ জন করে প্রার্থীকে মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে বলা হবে। কোন কারণে কারোটা বাতিল হলে যেন অপর প্রার্থী থাকে। আর তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের দিন একজনকে রেখে অন্যদের প্রত্যাহার করে দেওয়া হবে। ফলে এখনই কেউ চূড়ান্ত সংকেত বা নির্ধারিত হবে না। চূড়ান্ত জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরো কিছুদিন।
নারায়ণগঞ্জ-১ রূপগঞ্জ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী দুইজন। জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির ও বর্তমান কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মুস্তাফিজুর রহমান দিপু। ইতোমধ্যে দুইজনকে কেন্দ্রে ডাকা হয়েছে। গুলশান কার্যালয়ে তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন হাই কমান্ড। দুই পক্ষের লোকজনই ইতিবাচক সাড়া দেওয়ার কথা বলেছেন।
নারায়ণগঞ্জ-২ আড়াইহাজার আসনে দলের ঢাকা বিভাগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ ও সহ-অর্থনৈতিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন মনোনয়ন প্রত্যাশী। দল এ দুইজনকে নিয়ে ভাবছেন।
আসন পুনর্বিন্যাসের পর সিদ্ধিরগঞ্জ যুক্ত হয়েছে সোনারগাঁয়ের সাথে। ফলে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে সমীকরণ জটিল হচ্ছে। এখানে জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিন শক্ত অবস্থান গড়েছেন। অপর প্রার্থী সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপি সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান কিছুটা বেকায়দায় আছেন। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি`র হেভিওয়েট প্রার্থী মামুন মাহমুদ যুক্ত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জের এই আসনেটিতে।এ তিন জনের মধ্যেই আসছে মনোনয়ন।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনটি জোটভুক্ত দল জমিয়তকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিএনপি। জমিয়তের প্রার্থী হতে পারেন মনির হোসাইন কাশেমী। তবে জোট হলেও ধানের শীষ না পেলে তিনি নির্বাচন করবেন না। কপাল খুলতে পারে মশিউর রহমান রনির অথবা শাহ্ আলমের
অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক এমপি আবুল কালাম, মাসুদুজ্জামান ও আবু জাফর আহমেদ বাবুল। এ তিনজনের মধ্যেই থাকবে মনোনয়ন।
একুশে সংবাদ/এ.জে