গাজা অভিমুখে থাকা ‘গাজা ফ্রিডম ফ্লোটিলা’ জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী তাদের বহরে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকটি নৌযান আটক করেছে। আল জাজিরার প্রতিবেদনে ফ্লোটিলার এক প্রতিনিধি উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, প্রথমে ‘কনশানস’ নামের বিশাল জাহাজটিতে অভিযান পরিচালনা করা হয় — ওই জাহাজে ৯৩ জন সংবাদকর্মী, চিকিৎসক ও কর্মী ছিলেন। পরে তিনটি ছোট নৌযানও আটক করার কথা জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এক্সে দেওয়া একটি পোস্টে এই অভিযানের কথা নিশ্চিত করেছে। তাদের পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফ্লোটিলার চেষ্টা ছিল বৈধ নৌ-অবরোধ লঙ্ঘন করে যুদ্ধে মোতায়েন জলে ঢুকে পড়ার — কিন্তু সেটি বাধাগ্রস্ত করা হয়। মন্ত্রণালয়ের বক্তব্যে দাবি করা হয়েছে, আটক করা জাহাজ ও আরোহীদের ইসরায়েলের বন্দরে নেওয়া হচ্ছে এবং সবাই নিরাপদ ও সুস্থ আছেন; শীঘ্রই তাদের নির্বাসিত করা হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।
অন্যদিকে, ফ্রিডম ফ্লোটিলার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও ট্র্যাকার রিপোর্টে দেখা গেছে, বহরে থাকা মোট নয়টি জাহাজই বর্তমানে আটক রয়েছে। ওই বহরের মধ্যে ‘কনশানস’ ছিল একটি প্রধান জাহাজ; এতে ছিলেন বাংলাদেশের আলোকচিত্রী ও ড্রিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম। শহিদুল নিজেও বুধবার (৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফেসবুকে দেওয়া একটি ভিডিও বার্তায় জানাচ্ছেন যে তারা সমুদ্রে আটক এবং ইসরায়েলি বাহিনী তাদের হেফাজতে নিয়েছে। ভিডিওতে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও সহকর্মীদের ফিলিস্তিনের মুক্তিসংগ্রামে সহায়তা করতে আহ্বান জানান।
ফ্রিডিলায় অংশ নেওয়া শহিদুল আলমসহ অন্যান্য আরোহীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়ে এখন ব্যক্তিগত ও সরকারি হস্তক্ষেপের দাবি উঠছে। বিস্তারিত পরিস্থিতি এবং ধরা পড়া আরোহীদের মুক্তি বা অন্যান্য কাড়কহণের বিষয়ে পরবর্তী তথ্য প্রকাশিত হলে সেটি ভিত্তিতে আপডেট দেওয়া হবে।
একুশে সংবাদ/এ.জে