২০২৫ সালের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের তিন বিজ্ঞানী—জন ক্লার্ক, মিশেল এইচ. ডেভোরেট এবং জন এম. মার্টিনিস।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস এবারের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে। বৈদ্যুতিক বর্তনীতে স্থূল কোয়ান্টাম টানেলিং ও শক্তির কোয়ান্টাইজেশন সম্পর্কিত যুগান্তকারী আবিষ্কারের স্বীকৃতিস্বরূপ তাদের এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
একাডেমির ভাষ্য অনুযায়ী, এই গবেষণা কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যার এক নতুন অধ্যায় উন্মোচন করেছে। এ বছরের নোবেল মূলত কেন্দ্রিত ছিল এই প্রশ্নে—কোয়ান্টাম মেকানিক্সের জটিল ও অণুবিশ্বের আচরণ কীভাবে বৃহৎ মানবসৃষ্ট কাঠামো বা বাস্তব অভিজ্ঞতায় প্রয়োগ করা সম্ভব।
নোবেলজয়ী তিন বিজ্ঞানী ধারাবাহিক গবেষণায় প্রমাণ করেছেন, একটি অতিপরিবাহী বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা এক অবস্থা থেকে সরাসরি অন্য অবস্থায় ‘টানেলিং’-এর মাধ্যমে যেতে পারে—যেন কোনো বস্তু দেয়াল ভেদ করে অপরপারে চলে গেল। পাশাপাশি তারা দেখিয়েছেন, এই ব্যবস্থা নির্দিষ্ট মাত্রায় শক্তি শোষণ ও বিকিরণ করে, যা কোয়ান্টাম তত্ত্বের পূর্বাভাসের সঙ্গেই সামঞ্জস্যপূর্ণ।
গত বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের জন জে. হোপফিল্ড ও জিওফ্রি ই. হিন্টন, কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্ক ও মেশিন লার্নিংয়ের ভিত্তিমূলক অবদানের জন্য। তার আগের বছর যৌথভাবে এ পুরস্কার পান পিয়ের অগস্টিনি (যুক্তরাষ্ট্র), ফেরেঙ্ক ক্রাউৎজ (হাঙ্গেরি) এবং অ্যানে এলহুইলার (ফ্রান্স), ইলেকট্রন গতিবিদ্যা নিয়ে গবেষণার জন্য।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ৯৬ বছর বয়সে আর্থার আসকিন পদার্থবিজ্ঞানে সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ নোবেলজয়ী হন। আর ১৯১৫ সালে মাত্র ২৫ বছর বয়সে লরেন্স ব্রেগ সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে এ পুরস্কার পান। অন্যদিকে, জন বার্ডিন একমাত্র বিজ্ঞানী যিনি দু’বার পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছেন।
একুশে সংবাদ/এ.জে