ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে টানা বর্ষণে পাহাড় ধসের ঘটনায় অন্তত ১৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। রাজ্যের দার্জিলিংয়ের মিরিক ও সুখিয়া পোখরি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় প্রশাসনের আশঙ্কা, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। জেলা পুলিশ ও উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে অভিযান চালাচ্ছেন।
ভারী বৃষ্টির কারণে দার্জিলিং–সিকিমের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। দার্জিলিং–শিলিগুড়ি মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। একইভাবে ন্যাশনাল হাইওয়ে ১০-এর একাধিক স্থানে ধস নামায় রাস্তাটি অচল হয়ে পড়েছে। ন্যাশনাল হাইওয়ে ৭১৭এ মেরামতের কাজ চলছে।
পানবু–কালিম্পং সড়ক সচল থাকলেও তিস্তা বাজার এলাকায় জলাবদ্ধতায় দার্জিলিং–কালিম্পং রুট বন্ধ রয়েছে। এছাড়া করোনেশন ব্রিজের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় সিকিম ও দার্জিলিংয়ের যোগাযোগও বন্ধ হয়ে গেছে। পুলিশ লাবা–গরুবাথান রুটকে বিকল্প পথ হিসেবে ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) শনিবার (৪ অক্টোবর) ভোরে সিকিমের ছয় জেলায় রেড অ্যালার্ট জারি করে, প্রবল বজ্রঝড়, বজ্রপাত ও ঘণ্টায় ৩০–৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কতা দেয়। সকাল নাগাদ সতর্কতার মাত্রা কমিয়ে অরেঞ্জ অ্যালার্টে নামানো হয়। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বৃষ্টি ৭ অক্টোবর পর্যন্ত চলতে পারে।
গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ) দার্জিলিংয়ের সব পর্যটন কেন্দ্র সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে। টাইগার হিল, রক গার্ডেনসহ জনপ্রিয় স্পটগুলো বন্ধ রয়েছে। এছাড়া দার্জিলিং টয় ট্রেন সার্ভিসও স্থগিত করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্সে (X) পোস্ট করে জানিয়েছেন, “প্রবল বর্ষণে দার্জিলিং, কালিম্পং ও কুরসিয়ং এলাকায় ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শিলিগুড়ি, তরাই ও ডুয়ার্সের সঙ্গে পাহাড়ি অঞ্চলের যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন।”
তিনি দ্রুত ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম জোরদারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারকে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।”
একুশে সংবাদ/এ.জে