মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বোমাবর্ষণ বন্ধের আহ্বান উপেক্ষা করে ইসরায়েল শনিবার গাজায় ধারাবাহিক বিমান হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় অন্তত ৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে।
হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২০ দফা পরিকল্পনার কিছু অংশ গ্রহণের ইঙ্গিত দেওয়ার পরও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা সিটিতে নতুন করে হামলা চালায়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হামাসকে বন্দীদের মুক্তি ও যুদ্ধ শেষের আলোচনায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
চিকিৎসকরা জানান, গাজা সিটির তুফাহ পাড়ায় একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে ১৮ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অন্তত সাতজন শিশু (দুই মাস থেকে আট বছর বয়সী) ছিল। নাগরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার তথ্যমতে, এই হামলায় আরও কয়েকজন আহত এবং আশপাশের ভবনগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসি নামের একটি বাস্তুচ্যুত শিবিরেও হামলা চালায়। এই তথাকথিত ‘নিরাপদ মানবিক অঞ্চল’-এ হামলায় দুই শিশু নিহত এবং অন্তত আটজন আহত হন। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এই অঞ্চলও একাধিকবার ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে।
আল জাজিরার সাংবাদিক হিন্দ খোদারি জানান, মধ্য গাজার নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরসহ বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, “হাসপাতালগুলো এত বিপুল সংখ্যক আহত ফিলিস্তিনিকে চিকিৎসা দিতে পারছে না। জ্বালানি সংকটের কারণে উত্তরে অল্প কিছু চিকিৎসা কেন্দ্রই এখন কার্যকর আছে।”
গাজা সিটির ওমর আল-মুখতার স্ট্রিটে শনিবারের হামলার পর ভয়াবহ বিস্ফোরণের দৃশ্য দেখা গেছে, যা আনাদোলু এজেন্সির আলোকচিত্রী সাঈদ এম. এম. টি. জারাসের ক্যামেরায় ধরা পড়ে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, স্থলে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি চলছে, তাতে এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির কোনও ইঙ্গিতই দেখা যাচ্ছে না।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

