যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাস। কিন্তু তার পরও ট্রাম্পের আহ্বান উপেক্ষা করে গাজা উপত্যকায় নতুন করে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। এ তথ্য জানিয়েছে গাজার সিভিল ডিফেন্স সংস্থা। খবর আল-জাজিরার।
শনিবার (৪ অক্টোবর) গভীর রাতে গাজার বিভিন্ন এলাকায় বোমাবর্ষণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসিল জানান, “রাতটি ছিল অত্যন্ত সহিংস। গাজা সিটি ও আশপাশের অঞ্চলে একের পর এক বিমান হামলা হয়েছে। ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও ইসরায়েল তা উপেক্ষা করেছে।”
তার ভাষায়, রাতের হামলায় অন্তত ২০টি বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।
এর আগে ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে হামাসের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার পর গাজার মানুষ আশার আলো দেখতে শুরু করে এবং অনেকেই নিজ ঘরে ফিরতে শুরু করেন। কিন্তু এরপরই ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নাগরিকদের সতর্ক করে জানায়—গাজা সিটি এখন “উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্র”; সেখানে ফেরা প্রাণঘাতী হতে পারে।
ইসরায়েলি বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, “গাজা সিটিতে আমাদের অভিযান চলমান। সেখানে যাওয়া অত্যন্ত বিপজ্জনক। গাজার উত্তর, দক্ষিণ এবং সক্রিয় সামরিক অঞ্চলে যাতায়াত থেকে বিরত থাকুন।”
অন্যদিকে, হামাসের যুদ্ধবিরতি মেনে নেওয়ার ঘোষণা গাজার সাধারণ মানুষের মনে যুদ্ধের অবসানের প্রত্যাশা জাগালেও তা কতটা স্থায়ী হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। কারণ ট্রাম্পের প্রস্তাবে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের উল্লেখ নেই, বরং হামাসকে অস্ত্রসমর্পণের শর্ত দেওয়া হয়েছে—যা এই সংগঠন সহজে মানবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/এ.জে