মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বহু দেশে আজ শুক্রবার (৬ জুন) ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হচ্ছে মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। ঈদের নামাজের পর পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে পালন করা হচ্ছে ত্যাগের এই মহান প্রতীক।
সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতারসহ আরব বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে আজই ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল থেকেই মসজিদ ও ঈদগাহে ভিড় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। ঈদের নামাজ শেষে পশু কোরবানির মাধ্যমে পালন করা হচ্ছে ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুশাসন।
মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারামে লাখো হাজি ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। হজের আনুষ্ঠানিকতা অনুযায়ী এর আগে ৯ জিলহজ রাতে মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করেন তারা। ভোরে ফজরের নামাজ শেষে মিনার পথে রওনা হন হাজিরা। ১০ জিলহজ সকালে মিনায় পৌঁছে বড় জামরাতে সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ করেন তারা। এরপর কোরবানির পশু জবাই করে মাথা মুড়িয়ে ইহরাম থেকে মুক্ত হন হাজিরা। তবে স্ত্রী সহবাসের ক্ষেত্রে ইহরামের বিধিনিষেধ তখনও বহাল থাকে।
অন্যদিকে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়াসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশেও আজ ঈদ উদযাপিত হচ্ছে। ভৌগোলিক কারণে অস্ট্রেলিয়ায় ঈদের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে সবার আগে। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মুসলিমরাও।
তবে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, মরক্কো ও ব্রুনেইসহ অনেক দেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে আগামীকাল (৭ জুন), কারণ এসব দেশে চাঁদ দেখা অনুযায়ী একদিন পর ঈদ পালিত হয়।
বিশ্বজুড়ে এই ঈদ উদযাপন শুধুমাত্র ধর্মীয় রীতির অনুশীলনই নয়, বরং মানবতা, সহানুভূতি ও আত্মত্যাগের চর্চা হিসেবেও চিহ্নিত হয়ে উঠেছে।
একুশে সংবাদ/ স.ট/এ.কে