গাজায় চলমান সহিংসতা বন্ধ না হলে এবং দ্বিরাষ্ট্র ভিত্তিক শান্তি প্রক্রিয়ার নিশ্চয়তা না এলে, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির কোনো বাস্তব অগ্রগতি না ঘটলে আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের আগেই যুক্তরাজ্য এই স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্টারমার বলেন, “ইসরাইল যদি গাজায় সহিংসতা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, পশ্চিম তীরের দখলদারি থেকে সরে না আসে, এবং একটি টেকসই শান্তিপ্রক্রিয়ায় অংশ না নেয়, তবে যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে।”
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী স্টারমার আরও জানান, হামাসের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ফিলিস্তিনি জনগণের স্বার্থ এক নয় এবং তাদের গাজায় প্রশাসনিক দায়িত্বে রাখার প্রশ্নই ওঠে না। তিনি হামাসের প্রতি ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সমঝোতায় আসার আহ্বান জানান।
স্টারমার বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে—একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পাশাপাশি একটি নিরাপদ ও স্বীকৃত ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, যেখানে উভয় জাতি শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করতে পারে।”
প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, সেপ্টেম্বরের জাতিসংঘ অধিবেশনের আগে যুক্তরাজ্য পরিস্থিতির সর্বশেষ অগ্রগতি মূল্যায়ন করবে এবং সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
এদিকে, ফ্রান্সও একই ধরনের ঘোষণা দিয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ২৪ জুলাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যে ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ফ্রান্স সেপ্টেম্বরেই জাতিসংঘ অধিবেশনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে।”
একুশে সংবাদ/স.ট/এ.জে