ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ১৪০টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৩ মে) রাত ২টা ৫২ মিনিটে কম্পন অনুভূত হয়। উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬৮ কিলোমিটার গভীরে।
ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া সংস্থা (বিএমকেজি) ভূমিকম্পটির মাত্রা ৬ এবং গভীরতা ৮৪ কিলোমিটার বলে জানিয়েছে। তবে তারা নিশ্চিত করেছে, এতে সুনামির কোনো আশঙ্কা নেই।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার (বিএনপিবি) মুখপাত্র আবদুল মুহারি জানান, বেনগকুলু শহরে ১৪০টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৮টি ঘর পুরোপুরি ধসে গেছে। এছাড়া ৬টি সরকারি স্থাপনারও ক্ষতি হয়েছে। সেন্ট্রাল বেনগকুলু জেলাতেও দুটি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা এরিক চাতুর নুগ্রোহো জানান, “রাতে জানালার কাঁপুনিতে ঘুম ভেঙে যায়। তখনই আমরা সন্তানদের নিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসি। দেখি, আশপাশের সবাই ঘর ছেড়ে বাইরে এসেছে।”
ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত ইন্দোনেশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’-এ অবস্থিত, যেখানে টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষে প্রায়ই ভূকম্পন হয়ে থাকে।
এর আগে ২০২১ সালে সুলাওয়েসিতে ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্পে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারান। ২০১৮ সালে পালু শহরে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প ও সুনামিতে মারা যায় ২২০০ জনের বেশি। আর ২০০৪ সালের ভয়াবহ সুনামিতে দেশটিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষ।
একুশে সংবাদ/ জা.নি /এ.জে