নরসিংদীর পলাশে সুদের টাকা পরিশোধের কথা বলে জহিরুল ইসলাম (২৭) নামের এক যুবককে বাসায় ডেকে নিয়ে গলাকেটে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে পলাশ উপজেলার ডাংগা ইউনিয়নের কাজিরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত জহিরুল ইসলাম ওই গ্রামের মৃত রফিজ উদ্দিনের ছেলে।
সোমবার সকালে ঘটনার সঙ্গে জড়িত শেফালি বেগম (৩১) ও তার ছেলে রিয়াদ (১৯) কে পলাশ থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার পেচারচর গ্রামের মাসুদ মিয়ার স্ত্রী শেফালি বেগম ও তার ছেলে রিয়াদ। তারা ডাংগা ইউনিয়নের কাজিরচর গ্রামে আল আমিনের বাড়িতে ভাড়া থাকে।
পুলিশ ও আহতের ভাই বাচ্চু মিয়া জানিয়েছেন, জহিরুল ইসলাম কৃষিকাজ ও ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তিনি পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া মাসুদ মিয়াকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা সুদে ধার দেন। প্রথমে মাসিক সুদ পরিশোধ করলেও হঠাৎ করে সুদের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেন। দীর্ঘদিন পরিশোধ না হওয়ায় সুদসহ ৫ লাখ টাকা জমা হয়।
পরবর্তীতে এই টাকা পরিশোধ করার কথা বলে রবিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে জহিরুল ইসলামকে মুঠোফোনে ডেকে কাজিরচর গ্রামের ভাড়া বাসায় নিয়ে যায় মাসুদ মিয়া। সেখানে তাকে আটকে রেখে শেফালি বেগম, রিয়াদ ও আরও ২–৩ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির সহায়তায় মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে মাসুদ মিয়া ধারালো চাকু দিয়ে জহিরুলের গলা কেটে গুরুতর জখম করেন।
আশেপাশের লোকজন ঘটনাটি জানতে পেরে গুরুতর আহত জহিরুল ইসলামকে উদ্ধার করে প্রথমে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “এ ঘটনায় আহত জহিরুল ইসলাম ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে থানায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ আরও ২–৩ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে শেফালি বেগম ও রিয়াদকে গ্রেপ্তার করে নরসিংদী কোর্টে পাঠানো হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
একুশে সংবাদ/ন.প্র/এ.জে