পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) ইউনিডো ও নরওয়ে সরকারের সহযোগিতায় প্লাস্টিকমুক্ত ক্যাম্পাস ও বিশ্ব পরিচ্ছন্নতা দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি কনফারেন্স রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল হক এর সভাপতিত্বে ও সহকারী অধ্যাপক মো. আশিকুর রহমান এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক মো. আব্দুল লতিফ, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিন, পরিবেশ অধিদপ্তর, পটুয়াখালীর সহকারী পরিচালক লোভানা জামিল এবং ইউনিডো বাংলাদেশের ন্যাশনাল প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর সত্য রঞ্জন ভট্টাচার্য।
পরিবেশ অধিদপ্তর, পটুয়াখালীর সহকারী পরিচালক লোভানা জামিল তার বক্তব্যে বলেন, “পরিবেশ রক্ষায় শিক্ষার্থীদের সচেতনতা এবং এই ধরনের অংশগ্রহণ অনেক আশাব্যঞ্জক। এই ধরনের কর্মসূচি তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।”
বিশেষ অতিথি ইউনিডো বাংলাদেশের ন্যাশনাল প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর সত্য রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্লাস্টিক দূষণ রোধে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে। পবিপ্রবির এই উদ্যোগ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যও অনুকরণীয় উদাহরণ হিসেবে কাজ করবে।”
বিশেষ অতিথি অধ্যাপক ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিন বলেন, “পরিবেশ রক্ষায় ছোট ছোট অভ্যাসই বড় পরিবর্তন আনে। যদি আমরা সবাই প্লাস্টিক ব্যবহার সীমিত করি এবং নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখি, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও পুরো সমাজ উপকৃত হবে।”
বিশেষ অতিথি অধ্যাপক মো. আব্দুল লতিফ বলেন, “পরিচ্ছন্নতা শুধু বাহ্যিক নয়, এটি একটি সংস্কৃতি ও মানসিকতার প্রতিফলন। প্লাস্টিক রোধে গোড়া থেকেই কার্যকর কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে। নইলে প্লাস্টিক দূষণ কোনোভাবেই কমানো সম্ভব নয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস গঠনে সবসময় সচেষ্ট। এ ধরনের উদ্যোগকে আমরা সবসময় উৎসাহিত করি।”
প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান বলেন, “পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অংশ। পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে পরিবেশকে রক্ষা করা এবং সঠিকভাবে পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের দায়িত্ব। পরিবেশ রক্ষা এবং টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। প্লাস্টিক দূষণ জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম বড় কারণ। এ দূষণ থেকে মুক্তি পেতে হলে শুধু উদ্যোগ গ্রহণ করলেই হবে না, প্লাস্টিক ব্যবহার শূন্যের কোটায় নিয়ে আসতেও আমাদের মনোনিবেশ করতে হবে।”
আলোচনা সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসের বিল্ডিং, রাস্তাঘাট, ক্যাম্পাস সংলগ্ন বাজার এবং আবাসিক হলগুলোয় পড়ে থাকা ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এতে প্রধান অতিথি সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ জন শিক্ষক এবং ২০০-এর বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
একুশে সংবাদ/এ.জে