আনন্দ উল্লাসের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ নয় বছর পর রাজধানীর মহাখালী ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ এর দ্বি-বার্ষিক সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুষ্ঠ নির্বাচন পরিচালনায় নেওয়া হয়েছে সকল ধরনের পদক্ষেপ জানিয়েছেন প্রার্থীরা। নয় বছর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়ে। ভোটের দিন মার্কেটজুড়ে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, নতুন নেতৃত্ব আসার পর ব্যবসার পরিবেশ আরও গতিশীল হবে এবং মার্কেটের সার্বিক উন্নয়ন ঘটবে।
রোববার (২৪ আগষ্ট) বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মহাখালী এস কে এস টাওয়ারের একটি রেস্টুরেন্টে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলে। নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১৫১ জন। এ বছর ১২টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১৮ জন প্রার্থী। এর মধ্যে পাঁচ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি সাতটি পদের বিপরীতে মোট ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুসা আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ মোঃ ইফতেখার হোসেন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শেখ সহিদুল ইসলাম সরদার (বাবু), দপ্তর সম্পাদক মোঃ আসাদুজ্জামান এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোঃ সোহেল চৌধুরী।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন সভাপতি পদে মোঃ মাইনউদ্দিন ও মোঃ নূর নবি, সহ-সভাপতি পদে মোঃ সাদেক হোসেন ও ইঞ্জি. মোঃ ফিরোজ আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে শেখ আমানুর রহমান ও মোঃ এনামুল হক। এছাড়াও কার্যনির্বাহী পরিষদের সাতটি পদে লড়েছেন ইঞ্জি. নুরুল ইসলাম, মোঃ গোলাম হোসেন (নয়ন), মোঃ রেহান উদ্দিন রাজু, মোঃ সুমন, মোঃ ইমরান হোসেন, মোঃ আল আমিন খলিফা ও মোঃ শাহিনুর রহমান।
নির্বাচনে অংশ নেওয়া একাধিক প্রার্থী বলেন, জয়ী হতে পারলে মার্কেটের নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। দারোয়ান থেকে শুরু করে পুরো পরিবেশকে গ্রাহকবান্ধব করে তোলাই হবে মূল লক্ষ্য। মার্কেটের উন্নয়ন হবে, ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন এবং একসাথে কাজ করে এটিকে একটি কাস্টমার মার্কেট হিসেবে গড়ে তুলতে চান প্রার্থীরা।
একাধিক ভোটার বলেন, নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করা সকল প্রার্থী আমাদের আপনজন। যেই জয়ী হবে তার সাথে এক হয়ে এই সমিতির উন্নয়নে কাজ করবে। সমিতির সকল সদস্যদের সুখ-দুঃখে পাশে থাকবে এটাই আমাদের কাম্য।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার তৌফিক হাসান, সহকারী নির্বাচন কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন ও নজরুল ইসলাম খান জানান, “এখানে যারা ভোটার, সবাই মার্কেটের ব্যবসায়ী। তাই কারচুপি বা বিশৃঙ্খলার কোনো সুযোগ নেই। সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামীতে যারা নির্বাচিত হবেন, তারা যেন আন্তরিকতার সঙ্গে মার্কেটের উন্নয়নে কাজ করেন—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
একুশে সংবাদ/রাফি/বাবু/এ.জে