গত কয়েক বছর ধরে রমজানে রাজধানীর হোটেল-রেস্তোরাঁয় সেহরি পার্টির চল তৈরি হয়েছিল। দল বেঁধে পরিবার-পরিজন নিয়ে কিংবা বন্ধুদের সাথে মধ্যরাতে অনেকেই রেস্তোরাঁয় করতেন সেহরি। কিন্তু এবার এই চিত্র একেবারেই পাল্টে গেছে। বেইলি রোড ট্র্যাজেডির পর রাতের ঢাকায় বন্ধ থাকছে অধিকাংশ রেস্তোরাঁ। যে দু-একটি খোলা থাকছে সেখানেও নেই মানুষের ভিড়।
এবার রোজা শুরুর সপ্তাহখানেক আগে বেইলি রোড ট্র্যাজেডি সবকিছুই পাল্টে দিয়েছে। একদিকে রেস্তোরাঁগুলোতে চলছে প্রশাসনের অভিযান অন্যদিকে ভোক্তাদের মাঝে আতঙ্ক। রাতের ঢাকায় বন্ধ অধিকাংশ রেস্তোরাঁ। দুএকটি খোলা থাকলেও সেখানে সুনসান নীরবতা।
রেস্তোরাঁর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, ২৯ ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের পর পরিচালিত অভিযানের কারণে বন্ধ বেশিরভাগ রেস্টুরেন্ট। সময়ের সাথে মানুষের ভিড় বাড়বে বলে আশা তাদের।
একই চিত্র দেখা যায় পুরান ঢাকার নাজিরা বাজারে। সবসময় ভোজনরসিক মানুষের গমগম করা এই এলাকায়ও পিন পতন নিরবতা। বিক্রেতারা বলছেন, বেইলি রোডের আগুনের আঁচ পৌঁছেছে এখানেও।
এখন এসব এলাকার অগ্নি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলে দাবি বিক্রেতাদের। সচেতনতা বাড়াতে ব্যবসায়ীদের অগ্নি নিরাপত্তা সরঞ্জাম উপহার দিচ্ছেন এলাকাবাসী। শুধু ব্যবসা নয় হোটেল রেস্তোরাঁয় মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্ব পাবে এমনটাই প্রত্যাশা ভোক্তাদের।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

