পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ৪ শতাধিক নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিয়েছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রদল। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় পাবনার রত্নদ্বীপ রিসোর্টে এ নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হয়।
নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি মাকসুদুর রহমান সুমিত, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফারহান মো: আরিফুর রহমান ও কাইয়ুম উল হাসান (কাউয়ুম)। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল হক জিহাদী, সাবেক আহ্বায়ক একরামুল হক লিমন, সাবেক সদস্য সচিব মীর সানজিদ প্রান্ত, আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য মেহেদী হাসান মিলনসহ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কুরআন এবং গীতা পাঠ করা হয়। এরপর জাতীয় সংগীত, ছাত্রদলের সংগীত এবং চব্বিশের অভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি শেখ মোজাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক কে. এম তরিকুলের সঞ্চালনায় প্রোগ্রামের শুরুতে নবীন শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে বক্তব্য দেন ইংরেজি বিভাগের ইয়াসিন আলী এবং অর্থনীতি বিভাগের সাকিব হোসেন। এরপর বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র পাবনা জেলার সাবেক সদস্য সচিব মঞ্জুরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফারহান মো. আরিফুর রহমান ও কাইয়ুম উল হাসান (কাউয়ুম)।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি মাকসুদুর রহমান সুমিত বলেন, একাত্তর পরবর্তী বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটা হলো চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে একক ছাত্রসংগঠন হিসেবে সবচেয়ে বেশি আত্মহুতি দিতে হয়েছে ছাত্রদলকে। নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানেও সবচেয়ে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। নব্বই পরবর্তী বাংলাদেশের ক্যাম্পাসগুলোতে যেভাবে রাজনীতি হয়েছে সবগুলোতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ছাত্রদল সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে থেকে শিক্ষার্থীদের চাওয়া-পাওয়াকে প্রাধান্য দিয়ে রাজনীতি করারা চেষ্টা করেছে। চব্বিশের আন্দোলনটা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাধ্যমেই শুরু হয়, পবর্তীতে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন। এই আন্দোলনে সর্বস্তরের ছাত্ররা অংশগ্রহণ করেছেন। ১৯ জুলাই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা যদি মাঠে না নামতেন তাহলে আন্দোলন হয়তো অন্যদিকে চলে যেতো।
তিনি আরও বলেন, আমরা অনেকেই বলি রাজনীতি ভালো কিছু না কিন্তু আমরা কেউ আবার রাজনীতির বাইরেও না। একটা সময় যারা ছাত্র রাজনীতি যারা করতো সাধারণ মানুষ তাদেরকে ভিন্ন চোখে দেখতো, বলতো এদের দিয়ে কিছু হবেনা কিন্তু চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর মানুষের সে ধারণা বদলেছে। আমাদেরকে আমাদের ক্যারিয়ার নিয়ে যেমন ভাবতে হবে তেমনি দেশ নিয়েও ভাবতে হবে। আমরা বিদ্যমান যে রাজনৈতিক কাঠামোর মধ্যে আছি সেটার ভেতরে থেকেই আমাদের রাজনৈতিক সচেতনতা বাড়াতে হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি মুজাহিদ হোসেন বলেন, ‘ছাত্রদল পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থে কাজ করতে বদ্ধ পরিকর। ক্যাম্পাসে আমাদের ভিশন হলো গণরুম, গেস্ট রুম, টর্চারসেল বিলুপ্ত, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য দূরীকরণ ও মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ে তোলা। হলের খাবারের মান উন্নয়ন ও প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি, মেডিকেল সেন্টার আধুনিকায়ন, মেয়েদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস তৈরী, সবুজ ও পরিষ্কার ক্লিন ক্যাম্পাস কর্মসূচী, পার্ট টাইম জবের ক্ষেত্র তৈরী, শিক্ষার্থীদের জন্য কল্যাণমূলক কাজ করা। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করতে চাই, সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে থাকতে চাই।’
একুশে সংবাদ/এ.জে