রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) উপ-উপাচার্য লাঞ্ছনা ও পোষ্য কোটার সুবিধা বাতিলের প্রতিবাদে শিক্ষক-কর্মচারীরা আজ সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ শুরু করেছেন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম অচল হয়ে পড়েছে।
তবে শাটডাউনের বাইরে রাখা হয়েছে রাকসু নির্বাচন, পানি, বিদ্যুৎ ও পরিবহন সেবা। সকাল থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রশাসন ভবন, সিনেট ভবন ও আমতলায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
গতকাল সিন্ডিকেট সভা শেষে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ জানান, উপ-উপাচার্য লাঞ্ছনার ঘটনার সুষ্ঠু অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনেরও সুপারিশ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সিন্ডিকেট প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধায় ভর্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। ভর্তি কার্যক্রম শুরু করার আগে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রাবি অফিসার্স সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, “দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা চালু থাকলেও আমাদের এখানে বাতিল করা হলো। এ সিদ্ধান্ত অন্যায্য। তাই আমরা বাধ্য হয়ে কমপ্লিট শাটডাউনে গিয়েছি।”
গত সপ্তাহে জুবেরী ভবনে এক শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটে, যা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নজিরবিহীন বলে অভিহিত করেছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট নিন্দা জানায় এবং দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দেয়।
একুশে সংবাদ/ঢ.প/এ.জে