চীনের চংকিনে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ বাছাই পর্বে দুর্দান্ত ফর্ম ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে তিমুর লেস্তেকে ৫-০ ব্যবধানে হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচেও জয়লাভ করেছে বড় ব্যবধানে। ব্রুনাই দারুসসালামের বিপক্ষে ৮-০ গোলের দাপুটে জয় পেয়েছে লাল-সবুজের তরুণরা।
যদিও বিশাল জয়ের পরও কেউ হ্যাটট্রিক করতে পারেননি। রিফাত কাজী ও অপু করেন দুটি করে গোল। একবার করে স্কোরশিটে নাম লেখান মানিক, বায়েজিদ, ফয়সাল ও আলিফ।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে বাংলাদেশ। ১৩তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে ফয়সালের নিখুঁত পাস ধরে অপু দক্ষতার সঙ্গে লক্ষ্যভেদ করেন। ২৩তম মিনিটে রিফাত দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দারুণ শটে ব্যবধান বাড়ান। এরপর রিদুয়ানের পাস থেকে ফয়সালের গোল বাংলাদেশের তৃতীয় সাফল্য এনে দেয়। মাত্র এক মিনিট পর মানিকের দূরপাল্লার দুর্দান্ত শটে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৪-০।
বিরতির পরও একই ছন্দে খেলে বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধের চতুর্থ মিনিটে রিদুয়ানের ক্রস ধরে অপু করেন নিজের দ্বিতীয় গোল। ৭৩তম মিনিটে ফয়সালের দূরপাল্লার শট ব্রুনাই গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিলেও রিফাত রিবাউন্ডে লক্ষ্যভেদ করে জোড়া গোল সম্পন্ন করেন।
মাত্র দুই মিনিট পর ব্রুনাইয়ের ডিফেন্সের বিশৃঙ্খলা কাজে লাগিয়ে আলিফ শীতল মাথায় শট নিয়ে গোল করেন। ৭৯তম মিনিটে বায়েজিদের দুর্দান্ত শটে ৮-০ ব্যবধানে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
ম্যাচশেষে বাংলাদেশ দলের হেড কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন, “ছেলেরা শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ও ইতিবাচক ফুটবল খেলেছে। ফলে গোলের সুযোগ তৈরি হয়েছে এবং কাজে লাগাতে পেরেছে। এজন্য দলকে ধন্যবাদ। আগামীতেও আমরা এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই।”
এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ বাছাইপর্বে বাংলাদেশ রয়েছে ‘এ’ গ্রুপে। স্বাগতিক চীনের পাশাপাশি গ্রুপে আছে ব্রুনাই, তিমুর লেস্তে, শ্রীলঙ্কা ও বাহরাইন। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন দলই আগামী বছর সৌদি আরবে মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে।
বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ ২৬ নভেম্বর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এই গ্রুপে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হচ্ছে চীন ও বাহরাইনকে।
একুশে সংবাদ//এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

