কাতারের দোহায় রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপের রোমাঞ্চকর ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের। সুপার ওভারে হেরে আবারও রানার্স-আপ হয়ে ফিরল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ২০১৯ সালের ব্যথা যেন নতুন করে ফিরে এল পাকিস্তান শাহীনসের বিপক্ষে এই শিরোপা লড়াইয়ে।
১২৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। জিসান আলম ও হাবিবুর রহমান সোহানের ব্যাটে প্রথম দুই ওভারেই আসে ২১ রান। তবে তৃতীয় ওভার থেকেই শুরু পতনের মিছিল। পাকিস্তানের স্পিনারদের ঘূর্ণিতে একে একে ফিরেছেন জিসান, সোহান, অঙ্কন, আকবর, ইয়াসির রাব্বিরা।
তবুও শেষের দিকে আলো দেখান রাকিবুল হাসান ও এসএম মেহেরব। দুজনের জুটি কিছুটা আশা জাগিয়েও ম্যাচকে জয়ের দিকে নিতে পারেননি। মেহেরব ১৯ এবং রাকিবুল ২৪ রানে আউট হলে আবার চাপ বাড়ে।
শেষ চেষ্টা করেন রিপন মণ্ডল ও সাকলাইন। ১৯তম ওভারে শহীদ আজিজকে তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচটাকে সুপার ওভারের দোরগোড়ায় নিয়ে আসেন তারা। ওই ওভারে আসে ২০ রান। শেষ ওভারে ৭ রান প্রয়োজন ছিল। বল দমে দমে রান এলে ম্যাচটি গড়ায় সুপার ওভারে।
সুপার ওভারে বাংলাদেশ তোলে মাত্র ৬ রান। সোহান সিঙ্গেল নিলেও দ্বিতীয় বলেই সাকলাইন ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। পরে আসে ওয়াইডসহ ৫ রান, কিন্তু জিসান দ্রুত আউট হওয়ায় বাংলাদেশ বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি।
৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের মাজ সাদাকাত ও সাদ মাসুদ সহজেই ম্যাচ শেষ করেন। রিপন প্রথম তিন বলে ৬ রান দিয়ে চতুর্থ বলেই পরাজয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।
হাবিবুর রহমান সোহান: ১৭ বলে ২৬, রাকিবুল হাসান: ২৪, এসএম মেহেরব: ১৯, জিসান, অঙ্কন, আকবর, ইয়াসিরদের ব্যর্থতায় চাপ বাড়ে, শেষদিকে রিপন–সাকলাইনের লড়াইয়ে ১২৫ রানে ইনিংস থামে ।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম বলেই রান আউট হন ইয়াসির। দ্রুতই ফেরেন ফায়েক। গাজী, সাদাকাত ও আরাফাতদের বিদায়ে চাপে পড়ে পাকিস্তান। তবে সাদ মাসুদের ২৬ বলে ৩৮ পাকিস্তানকে এনে দেয় চ্যালেঞ্জিং ১২৫ রান।
বাংলাদেশের হয়ে রিপন নেন ৩ উইকেট, রাকিবুল ২টি।
ফাইনালে দারুণ লড়াই করেও শেষ মুহূর্তে আবারও ব্যথা। সুপার ওভারের ব্যর্থতায় হাতছাড়া হলো শিরোপা—পাকিস্তান হলো তিন বারের চ্যাম্পিয়ন, আর বাংলাদেশকে আবারও সন্তুষ্ট থাকতে হলো রানার্স-আপ হয়ে।
একুশে সংবাদ//এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

