মিরপুর টেস্টের প্রথম সেশনেই ফল নির্ধারণ হয়ে যাবে—এমন প্রত্যাশা ছিল অনেকের। তবে ম্যাচ টেনে নিয়ে গেল পঞ্চম দিনের দ্বিতীয় সেশন পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত আইরিশদের ২১৭ রানে হারিয়ে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ নিশ্চিত করেছে নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ।
কার্টিস ক্যাম্ফারের লড়াকু ফিফটি এবং টেলএন্ডারদের প্রতিরোধ সত্ত্বেও দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯১ রানে থামে আয়ারল্যান্ড।
শেষ দিনে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৪ উইকেট। অন্যদিকে আইরিশদের করতে হতো ৩৩৩ রান—যা কার্যত অসম্ভবই বলা চলে।
২০২২ সালের মে মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বশেষ মিরপুর টেস্ট পঞ্চম দিনে গড়িয়েছিল। এরপরের পাঁচটি টেস্টই চার দিনের মধ্যেই নিষ্পত্তি হয়েছে। এবারও চতুর্থ দিন বাংলাদেশ ৩ উইকেটে ১৪১ রান করে ইনিংস ঘোষণা করার পর বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে হ্যারি টেক্টরের ফিফটির সহায়তায় দিন শেষ করেছিল ৬ উইকেট হারিয়ে।
পঞ্চম দিনে ক্যাম্ফার ও অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন প্রথম ১১ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে প্রতিরোধ গড়েন। অবশেষে তাইজুল ইসলাম এলবিডব্লিউ করেন ম্যাকব্রাইনকে। রিভিউ নিলেও সিদ্ধান্ত বদলায়নি। ২১ রানে বিদায় নেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
এটি তাইজুল ইসলামের ক্যারিয়ারের ২৫০তম টেস্ট উইকেট—বাংলাদেশের হয়ে প্রথম বোলার হিসেবে এই মাইলফলকে পৌঁছালেন তিনি। একই সঙ্গে বিশ্বের ষষ্ঠ বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে আড়াইশ উইকেট পূর্ণ করলেন।
মাঝে আক্রমণাত্মক জর্ডান নিল জীবন পান লিটনের ক্যাচ মিসে। ২৩ রানে তিনি বেঁচে যান। লাঞ্চের আগমুহূর্তে নতুন বল নেয় বাংলাদেশ। যদিও প্রথমে স্পিনেই ভরসা রাখেন শান্ত, তবে নতুন বলে বল হাতে পেয়েই সাড়া দেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
তার ঘূর্ণি বুঝতে না পেরে বোল্ড হন নিল। ৪৬ বলে ৩০ রান করে ফেরেন তিনি। এর আগে নিজের ফিফটি তুলে নেন ক্যাম্ফার।
লাঞ্চের আগে আর কোনো উইকেট না হারালেও আয়ারল্যান্ডকে জয় পেতে তখনও প্রয়োজন ছিল আরও ২৪৬ রান—যা অসম্ভবের কাছাকাছি।
পঞ্চম দিনের দ্বিতীয় সেশনেই কাজ শেষ করে বড় ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিমের শততম ম্যাচ তাই রঙিন হলো আরেকটি সিরিজ জয় ও দাপুটে হোয়াইটওয়াশে।
একুশে সংবাদ//এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

