ক্লাস চলাকালীন সময়ে ল্যাবের নির্মাণ কাজ করানোর অভিযোগ উঠেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(যবিপ্রবি) প্রকৌশল দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার মো. নাজমুস সাকিবের বিরুদ্ধে। এতে শব্দ দূষণের ফলে নিয়মিত শ্রেণি কার্যক্রমে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটছে। এদিকে প্রকৌশলীকে একাধিকবার জানিয়েও কোনো সমাধান পাননি পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি(ইএসটি) বিভাগের চেয়ারম্যান।
রবিবার (২৩ নভেম্বর) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম একাডেমিক ভবনের ষষ্ঠ তলায় ক্লাস চলাকালীন সময়ে ইএসটি বিভাগের একটি ল্যাব নির্মাণের কাজ চলছে। কাজে ল্যাবের ভেতরে ড্রিলিং, কাটিং ও হাতুড়ির আঘাতে প্রচুর শব্দ সৃষ্টি হওয়ায় ক্লাস কার্যক্রমে ব্যঘাত ঘটে উক্ত বিভাগের ফ্লোরসহ উপর-নিচের ফ্লোর গুলোতে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শিক্ষকরা আমাদের পড়া বোঝাতে গিয়ে বারবার থেমে যাচ্ছেন এবং বিরক্তি প্রকাশ করছেন। এছাড়া তাঁরা বলছেন এটা কোনোভাবেই স্বাভাবিক একাডেমিক পরিবেশ হতে পারে না। এ বিষয়ে মিস্ত্রিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ইঞ্জিনিয়ার নাজমুস সাকিবের নির্দেশে তাঁরা ল্যাব নির্মাণের কাজ করতে এসেছেন।
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতককোত্তর শিক্ষার্থী মো: মারুফ হাসান বলেন, আমরা ক্লাসে বসে থাকতেই ঠিক ওপরের ফ্লোরে টাইলস কাটা, হাতুড়ি দিয়ে ইট ভাঙার শব্দ একটানা চলতে থাকে। এতে ক্লাসে একটুও মনোযোগ দিতে পারিনা। একটু পেছনে বসলে শিক্ষক কি বলছেন সেটাও স্পষ্টভাবে শোনা যায় না। আজ ক্লাসে কিছুই মাথায় ঢোকেনি এই শব্দের জন্য, এক পর্যায়ে না পেরে স্যার রুম থেকে বের হয়ে গেছে। এর কারণে আমাদের মানসিকভাবে অনেক চাপ তৈরি হচ্ছে। ক্লাসে মনোযোগ দিতে পারছিনা, প্রায়ই মাথাব্যথা করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় এমন পরিবেশ থাকা সত্যিই খুব দুঃখজনক। আমরা এমন ভোগান্তির দ্রুত সমাধান চাই।
গনিত বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী মো: সুরুজ বলেন, আজকে ক্লাস চলাকালীন সময়ে আমরা বিকট শব্দ শুনতে পাই। ক্লাসের সময় এরকম শব্দ দূষণ খুবই বিরক্তিকর। আমাদের ক্লাস করতে সমস্যা হয়।
এ ব্যাপারে ইএসটি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. গোপাল চন্দ্র ঘোষ বলেন, বিষয়টি সমাধানের জন্য ইঞ্জিনিয়ার নাজমুস সাকিবকে আমি আরও আগেই অবগত করেছিলাম। ক্লাস চলাকালীন সময়ে শব্দ দূষণের কারণে আমি নিজেও ক্লাস নিতে বিরক্ত বোধ করি। এ কারণে শ্রমিকদেরকে বলেছিলাম যেন ক্লাস চলাকালীন সময়ে টাইলস কাটিং থেকে বিরত থাকে কিন্তু এতে কোনো কাজ হয়নি। তারা তাদের প্রয়োজনে শব্দ দূষণ করেই চলছে। সবচেয়ে ভালো সমাধান হবে, যদি একাডেমিক সময়ের বাইরে গিয়ে এ সংস্কার কাজগুলো করার পদক্ষেপ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ইঞ্জিনিয়ার মো. নাজমুস সাকিবকে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি এবং দপ্তরে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী ড.এইচ.এম. জাকির হোসাইনকে ফোন দিলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে জানান।
একুশে সংবাদ//এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

