জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অ্যাম্বুলেন্স সেবার চরম অনিয়ম ও দায়িত্বহীনতার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর ) ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ৫৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী আসিফ ডেঙু পজিটিভ হওয়ায় তাকে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসকের কাছে নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায়নি প্রায় দুই ঘণ্টা অপেক্ষার পরও।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সহপাঠীর বর্ণনা অনুযায়ী, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য ফোন করা হলে জানানো হয়—একটি অ্যাম্বুলেন্স ধামরাইয়ে, একটি ঢাকায় এবং আরেকটি সাভারের সুপার মেডিকেলে শিক্ষককে নিয়ে গেছে। প্রায় আধা ঘণ্টা পর আবার ফোন দিলেও একই উত্তর—“আরও আধা ঘণ্টা লাগবে।” কিন্তু সেই ‘আধা ঘণ্টা’ আর শেষ হয়নি।
পরে চাপ প্রয়োগ করলে ড্রাইভারের নম্বর দেওয়া হয়। ড্রাইভার জানান, তিনি একজন শিক্ষককে ব্যক্তিগত কাজে—‘ডাক্তার দেখাতে’—সাভার সুপার মেডিকেলে নিয়ে গেছেন। সেখানে শিক্ষকের কাজ শেষ হলে তবেই ক্যাম্পাসে ফিরতে পারবেন। শিক্ষার্থীদের প্রস্তাব ছিল—
“আমরা যেহেতু সাভারের ইবনে সিনাতে যাব, আগে আমাদের নামিয়ে দিয়ে তারপর শিক্ষককে নিয়ে ফিরে যান।”
কিন্তু ড্রাইভার জানান, “ম্যাম না বললে কি করতে পারি বলেন।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ—শিক্ষকের ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য অ্যাম্বুলেন্স দীর্ঘ সময় আটকে রাখা হয়েছে, যার ফলে জরুরি একজন রোগীকে সময়মতো চিকিৎসা নিতে নিয়ে যাওয়া যায়নি। অ্যাম্বুলেন্স চালকের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা একই কথা বলেন।
এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন—“অ্যাম্বুলেন্স তো সবার জন্য। একজন শিক্ষকের ব্যক্তিগত প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্স আটকে রেখে ডেঙু আক্রান্ত রোগীকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলা কীভাবে গ্রহণযোগ্য?”
উল্লেখ্য তার সহপাঠী বলেন, আসিফের শারিরীক অবস্থা আরো অবনতির দিকে যাচ্ছে। তাকে তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অবস্থার অবনতি হওয়ায় আবার ধানমণ্ডির একটি হসপিটালে এনে তাকে ভর্তি করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ//এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

