বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটের ২৫ বছরের যাত্রায় অভিষেক হয়েছে শতাধিক ক্রিকেটারের। কিন্তু নতুন ইতিহাস লেখা হবে ১৯ নভেম্বর মিরপুর শের–ই–বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে—প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে শততম টেস্ট খেলতে নামবেন মুশফিকুর রহিম। দুই দশকের সব উত্থান–পতনের সঙ্গী হয়ে থাকা তার সেই বিবর্ণ টেস্ট ক্যাপটিও দিনটিতে যেন খুঁজে পাবে নতুন অর্থ ও মর্যাদা।
টেস্ট ক্যাপ ক্রিকেটারদের কাছে শুধু পোশাকের অংশ নয়; এটি একটি লিগ্যাসি। রিকি পন্টিং একবার বিমানবন্দরে তার ব্যাগি গ্রিন ক্যাপ হারিয়ে ভেঙে পড়েছিলেন। পরে বলেছিলেন, “এটা হারানো মানে আমার আত্মার এক অংশ হারানো।”
কুমার সাঙ্গাকারার ভাষ্য—“নতুন ক্যাপ পাওয়া যায়, কিন্তু পুরোনোটার ইতিহাস কেনা যায় না।”
রাহুল দ্রাবিড়ও বলেন, “এই ক্যাপের প্রতিটি দাগ, প্রতিটি ঘাম আমার সংগ্রামের স্মৃতি।”
মুশফিকও ঠিক এমনই এক গল্পের নায়ক। ৮ নভেম্বর নিজের বিবর্ণ টেস্ট ক্যাপের ছবি পোস্ট করে লিখেছিলেন—“সকল উত্থান–পতনের সঙ্গী।”
এই যাত্রার সূচনা ২০০৫ সালের ২৬ মে, লর্ডসে। বাংলাদেশের ৪১তম ক্রিকেটার হিসেবে তখনকার অধিনায়ক হাবিবুল বাশার তার হাতে তুলে দিয়েছিলেন টেস্ট ক্যাপ। সেই আশীর্বাদের ভার তিনি ২০ বছর ধরে গর্বের সঙ্গে বহন করে চলেছেন।
বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করা ব্যাটার মুশফিক। সাকিব ও তামিম একটি করে দ্বিশতক করলেও, সর্বাধিক তিনটি ডাবল সেঞ্চুরির মালিক ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’–ই। যেখানে তামিম ছাড়া আর কেউ ছুঁতে পারেনি পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক, সেখানে ৯৯ টেস্টে ১২ সেঞ্চুরি ও ২৭ ফিফটিতে মুশফিকের রান এখন ৬ হাজার ৩৫১—দেশের সর্বোচ্চ।
এবার তার সামনে নতুন উচ্চতা।১৯ নভেম্বর মাঠে নামলেই ইতিহাসের প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে শততম টেস্ট খেলবেন মুশফিকুর রহিম। সেই সাথে রঙচটা ক্যাপেও যোগ হবে আরেকটি রঙিন অধ্যায়।
একুশে সংবাদ//এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

