সিলেটে চলমান টেস্টের চতুর্থ দিনে ইনিংস পরাজয় এড়াতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে আয়ারল্যান্ড। ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯৮ রানে পৌঁছে লাঞ্চ বিরতিতে গেছে দলটি। এখনো ১০৩ রান পেছনে রয়েছে তারা; বাংলাদেশকে জয়ের জন্য দরকার মাত্র তিন উইকেট।
দিনের শুরুতেই ইনিংসের ওপর চাপ বাড়ান তাইজুল ইসলাম। ম্যাথু হাম্প্রেস (১৬) তার ঘূর্ণি খেলতে গিয়ে স্লগ সুইপে টপ এজ দেন, আর শর্ট ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ারে সাদমান ইসলাম সহজ ক্যাচ নেন। এই আঘাতে ১১৬ রানে ছয় উইকেট হারায় সফরকারীরা।
৪৭তম ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের টানা দুই বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েও রিভিউতে বেঁচে যান অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন। তবে কিছুক্ষণ পর আবার আঘাত আসে। দীর্ঘ প্রতিরোধ ভেঙে অ্যান্ডি বালবির্নিকে (৩৮) এলবিডব্লিউ করেন হাসান মুরাদ।
এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেই চাপে পড়ে আইরিশরা। নাহিদ রানার বলে বোল্ড হন চাদ কারমাইকেল (৫)। পল স্টার্লিং কিছুটা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, কিন্তু তার ৪৩ রানের ইনিংস শেষ হয় শান্তর সরাসরি থ্রোতে রানআউটে।
তাইজুলের ঘূর্ণিতে ফেরেন হ্যারি টেক্টর (১৮)। এরপর সাদমান ইসলামের দারুণ ডাইভিং ক্যাচে কুর্তিস ক্যাম্ফার (৫) আউট হন হাসান মুরাদের বলে। মুরাদের দ্বিতীয় শিকার লরকান টাকার (৯); রিভিউতে দেখা যায় বল লেগ স্টাম্পে লাগত, ফলে আম্পায়ার সিদ্ধান্ত বদল করেন। ৮৫ রানে আইরিশদের ৫ উইকেট টলে যায়।
আগের দিন চা-বিরতির পর মাত্র তিন ওভার ব্যাট করে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ১২ রান যোগ হয়, হারায় একটি উইকেট—হাসান মুরাদ ১৬ করে আউট হয়ে ম্যাথু হাম্প্রেসের ফাইফার সম্পূর্ণ করেন। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ৫৮৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ৩০১ রানের লিড নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা।
তৃতীয় দিনে মাহমুদুল হাসান জয় ১৭১ রানে থামেন। ডাবল সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও সকালে মাত্র ২ রান যোগ করেই বিদায় নেন তিনি। মুমিনুল হকও একইভাবে আগের দিনের স্কোর থেকে মাত্র ২ রান বাড়িয়ে ৮২ রানে আউট হন। ৩৪৬ রানে তিন উইকেট পড়ে যায়।
লিটন দাস ৬৬ বলে ৬০ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেললেও বড় শটে ধরা পড়েন। মুশফিকুর রহিম করেন ২৩। এই তিনজনকেই শিকার করেন হাম্প্রেস, যিনি ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইফার তুলে নেন।
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ১০০ রানের ইনিংস খেলে ম্যাকব্রাইনের বলে আউট হন। এরপর মিরাজ ১৭ করে হাম্প্রেসকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। চা-বিরতির সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৫৭৫/৭, লিড ২৮৯ রান।
লিড ৩০১ রানে পৌঁছানোর পরই ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। ৮০ রানে আউট হয়ে আগের দিনই থেমেছিলেন সাদমান ইসলাম।
আইরিশদের বোলারদের মধ্যে হাম্প্রেস একাই নেন ৫ উইকেট। ম্যাকার্থি পান ২টি এবং ম্যাকব্রাইনের ঝুলিতে যায় একটি উইকেট।
একুশে সংবাদ//এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

