ইনিংস হার এড়াতে আয়ারল্যান্ডের প্রাণপণ চেষ্টা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে। চতুর্থ দিনের লাঞ্চের আগে-পরে প্রতিরোধ গড়লেও ২৫৪ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীদের দ্বিতীয় ইনিংস। ফলে সিলেট টেস্টে ইনিংস ও ৪৭ রানের জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ, সিরিজে এগিয়ে যায় ১–০ ব্যবধানে।
বিরতির পর আক্রমণে ফিরে তাইজুল, নাহিদ রানা ও হাসান মুরাদ একে একে তুলে নেন শেষ তিন উইকেট। ম্যাচের সমাপ্তি টানে তাইজুল ইসলাম—ব্যারি ম্যাকার্থির ব্যাট ছুঁয়ে স্লিপে লিটন দাসের গ্লাভসে জমা পড়া বলটি প্রথমে নট আউট দেন আম্পায়ার; তবে রিভিউতে স্পষ্ট হয় ব্যাটের ছোঁয়া। ২৫ রানে ম্যাকার্থিকে ফেরানোর পরই জয় নিশ্চিত হয়।
আট নম্বরে নেমে জর্ডান নেইল আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ৩৮ রান করে কিছুটা আশা জাগিয়েছিলেন আইরিশদের জন্য। কিন্তু হাসান মুরাদের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে সাদমান ইসলামের অসাধারণ ক্যাচে থেমে যায় তাঁর ইনিংস। সেই সঙ্গে মুরাদ পূর্ণ করেন নিজের ঝুলির চতুর্থ উইকেট—৬০ রানের বিনিময়ে।
লাঞ্চের পর নাজমুল হোসেন শান্ত নতুন করে আক্রমণ সাজান। সেই ওভারেই নাহিদ রানা বাউন্সারে অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনকে (৫২) শিকার বানান—শর্ট মিডউইকেটে ধরা পড়েন মুরাদের হাতে। তাতেই ১৯৮ রানে আট নম্বর উইকেট পড়ে আইরিশ শিবিরে।
এর আগে একই ম্যাকব্রাইন মিরাজের পরপর দুই বলে এলবিডব্লিউয়ের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন—দুইবারই বাংলাদেশ রিভিউ নিয়ে সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য করে আম্পায়ারকে।
চতুর্থ দিন দিনের শুরুতেই তাইজুলের ঘূর্ণি আঘাতে উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। ১৬ রানে ব্যাট করা ম্যাথু হাম্প্রেস স্লগ সুইপ করতে গিয়ে টপ-এজ দেন; সহজ ক্যাচ নেন সাদমান। দলীয় স্কোর তখন ১১৬/৬।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মুরাদ নেন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট। তাইজুলের শিকার ৩টি এবং নাহিদ রানার ঝুলিতে যায় ২টি উইকেট।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ৫৮৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ, লিড দাঁড়ায় ৩০১। জবাবে তৃতীয় দিনের শেষে ৫ উইকেটে ৮৬ রানে থেমে যায় আয়ারল্যান্ড।
দ্বিতীয় ইনিংসেও শুরু থেকেই চাপে পড়ে সফরকারীরা। নাহিদ রানা বোল্ড করেন চাদ কারমাইকেলকে (৫)। কিছুক্ষণ পর পল স্টার্লিংকে (৪৩) রানআউটে ফিরিয়ে দেন শান্ত। পরে তাইজুল ও মুরাদের দাপটেই ধস নামে আইরিশ ব্যাটিং লাইনআপে।
মাহমুদুল হাসান জয় প্রথম ইনিংসে দলকে দেন ১৭১ রানের অনবদ্য ইনিংস। মুমিনুল হক খেলেন ৮২ রান। শান্ত নিজের অষ্টম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন। লিটন দাস ৬০ রান করেন ওয়ানডে ছন্দে।
হাম্প্রেস ৫ উইকেট নিয়ে আইরিশদের সেরা বোলার ছিলেন; ম্যাকার্থি নেন ২টি এবং একটি শিকার ম্যাকব্রাইনের।
একুশে সংবাদ//এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

