টার্গেট ছিল মাত্র ১৬৯ রান। টি-টোয়েন্টিতে তা একেবারেই হাতের বাইরে নয়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একই রান তাড়া করে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে সেই ছন্দ ধরে রাখতে পারল না জাকের আলীর দল। লড়াই জমে ওঠার আগেই ব্যাটিং ধসে পড়ে বাংলাদেশ, হেরে বসে ৪১ রানে। এ জয়ে ফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করল ভারত।
বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় শেষের আগেই—১৭.৩ ওভারে অলআউট। একাই লড়াই করেছেন ওপেনার সাইফ হাসান, ৫১ বলে ৬৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে। ইনিংসে ছিল ৩ চার ও ৫ ছক্কা। তবে অন্য প্রান্তে কেউ তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি।
প্রথমদিকে তানজিদ তামিম দ্রুত ফিরলেও সাইফ ও পারভেজ হোসেন ইমন মিলে দলকে ভালো সূচনা এনে দেন। পাওয়ার প্লেতে রান ওঠে ৪৪। কিন্তু এরপর একের পর এক ব্যাটার সাজঘরে ফেরায় চাপ বাড়ে। ইমন ১৯ বলে ২১, তাওহীদ হৃদয় ৭ রান, শামিম হোসেন শূন্য আর অধিনায়ক জাকের আলী রানআউট হয়ে ফেরেন।
কুলদীপ যাদব ভারতের হয়ে ছিলেন বিধ্বংসী। তিনি রিশাদ হোসেন ও তানজিম সাকিবকে দ্রুত ফিরিয়ে দেন। বুমরাহর এক ওভারে আউট হয়ে যান সাইফও। শেষ ওভারগুলোতে দরকার ছিল ৫৩ রান, যা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।
এর আগে ভারতের ব্যাটিংয়ে ঝড় তুলে অভিষেক শর্মা করেন সর্বোচ্চ ৭৫ রান। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান, রিশাদ হোসেন ও সাইফউদ্দিন নেন একটি করে উইকেট। তবে রান রুখতে ব্যর্থ হন তারা।
ফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ ঠিক হবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচের মধ্য দিয়ে। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য সেই ম্যাচ কার্যত সেমিফাইনাল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/এ.জে