অলিখিত ফাইনাল বললেও ভুল হবে না—শিরোপা ধরে রাখতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল মাত্র একটি ড্র। তবে এমন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা দলটিকে আটকানোর সাধ্য আদৌ কারও ছিল? সোমবার (২১ জুলাই) বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় নেপালকে ৪-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা।
গতবার ভারতের বিপক্ষে নানা নাটকীয়তায় শেষ মুহূর্তে যৌথ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ নিষ্পত্তি না হওয়ায় টসের মাধ্যমে শিরোপা নির্ধারণ করা হলেও সে টসের গুরুত্ব অনেকেই জানতেন না। পরে সিদ্ধান্ত বদলে উভয় দলকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়েছিল।
এবার ভারতের অংশগ্রহণ না থাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠে নেপাল। রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দলই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নিয়মে, ফাইনালের আগে বাংলাদেশের পয়েন্ট ছিল ১৫, আর নেপালের ১২। অর্থাৎ ড্র করলেই শিরোপা নিশ্চিত হতো বাংলাদেশের। নেপাল জিতলে শিরোপা যেত তাদের ঘরে।
অন্যদিকে, দুপুরে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পুরো দেশ ছিল শোকাহত। নিহত ও আহতের সংখ্যা বাড়তেই ছিল উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। সেই কারণেই ম্যাচ শুরুর আগে দুই দলই এক মিনিট নীরবতা পালন করে শ্রদ্ধা জানায়।
মাঠের খেলায় বাংলাদেশ ছিল একেবারে অপ্রতিরোধ্য। নেপালকে কোনো সুযোগই দেয়নি তারা। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফিরেই গোলের দেখা পান সাগরিকা। ম্যাচের ৮ মিনিটেই ডিফেন্স চেরা থ্রু পাস পেয়ে দারুণ প্লেসিংয়ে গোল করেন তিনি। নেপালের ডিফেন্ডারদের ছাপিয়ে বল নিয়ন্ত্রণে নেন এবং গোলরক্ষককে পরাস্ত করে কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠান।
এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করা সাগরিকা নেপালের বিপক্ষেও আগের ম্যাচে গোল পেয়েছিলেন। তবে সেবার লাল কার্ড দেখে তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ ছিলেন। নিষেধাজ্ঞা শেষে ফিরেই আবার গোলের দেখা পেলেন তিনি।
১৫ মিনিটে নেপাল গোলের দারুণ সুযোগ পেয়েছিল। বাংলাদেশের গোলরক্ষক মিলি আক্তার বল ধরতে ব্যর্থ হলে নেপালের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলেও গোল আদায় করতে পারেননি তারা।
বাংলাদেশ ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল ১৯ মিনিটে। মুনকি আক্তার বক্সের বাইরে থেকে শট নেন, কিন্তু নেপালের আনিশা রায় গোললাইন থেকে বল ক্লিয়ার করেন।
প্রথমার্ধ শেষে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই ড্রেসিংরুমে যায় বাংলাদেশ।
একুশে সংবাদ/এ.জে