নারী ফুটবলে নতুন ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছেন লাল-সবুজের মেয়েরা। এই ঐতিহাসিক সাফল্যকে ঘিরে রোববার দিবাগত রাতে রাজধানীর হাতিরঝিলে আয়োজিত হয় জমকালো সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।
রাত ৩টার দিকে হাতিরঝিলের অ্যাম্ফিথিয়েটারে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) আয়োজনে খেলোয়াড়দের সম্মাননা ও আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, বাফুফের সভাপতি তাবিথ আউয়ালসহ অন্যান্য ক্রীড়া সংগঠক ও ফুটবলপ্রেমীরা। মধ্যরাতেও বিপুল সংখ্যক সমর্থক ভিড় করেন নারী ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানাতে।

এর কিছুক্ষণ আগে, রাত ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে সাফল্যের পর দেশে পৌঁছায় নারী ফুটবল দল।
হঠাৎ করে মধ্যরাতে সংবর্ধনার কারণ হিসেবে জানা গেছে, আগামীকাল (সোমবার, ৭ জুলাই) সকালেই ভুটানে একটি লিগে অংশ নিতে দেশ ছাড়বেন দলের গুরুত্বপূর্ণ দুই সদস্য ঋতুপর্ণা চাকমা ও মনিকা চাকমা। কয়েকদিন পর একই গন্তব্যে যাবেন রুপনা চাকমা, মারিয়া মান্দা ও শামসুন্নাহার সিনিয়র। তাই সংবর্ধনার আয়োজন করতে হয়েছে রাতেই।
এবারের বাছাইপর্বে ‘সি’ গ্রুপে খেলেছিল বাংলাদেশ। গ্রুপে শক্ত প্রতিপক্ষ ছিল ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে অনেক এগিয়ে থাকা বাহরাইন (৯২) ও মিয়ানমার (৫৫)। তুলনায় বাংলাদেশ ছিল ১২৮তম। এছাড়া তুর্কমেনিস্তান ছিল ১৪১ নম্বরে।

লাল-সবুজের মেয়েরা দারুণ পারফরম্যান্সে তিন প্রতিপক্ষকেই হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে মূল পর্বে জায়গা করে নেয়। বাহরাইন ও তুর্কমেনিস্তানকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় তারা, আর শক্তিশালী মিয়ানমারকে হারায় ২-১ ব্যবধানে। বিশেষ করে স্বাগতিক মিয়ানমারের বিপক্ষে ঋতুপর্ণা চাকমার জোড়া গোল দলের ঐতিহাসিক জয়ে বড় ভূমিকা রাখে।
প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার সুযোগ পেল বাংলাদেশ। ২০২৬ সালের মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে এই প্রতিযোগিতার ২১তম আসর। এখন পর্যন্ত স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াসহ ১১টি দল মূল পর্বে জায়গা নিশ্চিত করেছে— চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, বাংলাদেশ, ফিলিপাইনস, ভিয়েতনাম, ভারত, চাইনিজ তাইপে, উত্তর কোরিয়া ও উজবেকিস্তান। ‘এ’ গ্রুপের বাছাই এখনো শুরু হয়নি।
একুশে সংবাদ/আ.ট/এ.জে