সালটা ২০২৫, বছরের শুরুতে পাকিস্তানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে গিয়ে হোয়াইটওয়াশ হয়ে ফিরেছিল বাংলাদেশ। তবে ঘরের মাঠে সেই হারের প্রতিশোধ নিতে প্রস্তুত লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন টাইগাররা। সিরিজের প্রথম ম্যাচেই দাপুটে পারফরম্যান্সে ৭ উইকেটের সহজ জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। এতে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
রোববার (২০ জুলাই) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ১১১ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছিল পাকিস্তান। জবাবে মাত্র ৭ উইকেট হারিয়ে ও ২৭ বল হাতে রেখেই জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন পারভেজ হোসেন ইমন।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। মাত্র ৪ বল খেলে ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন তানজিদ হাসান তামিম। এরপর অধিনায়ক লিটন দাসও দ্রুত ফিরলে ৭ রানে ২ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
এমন অবস্থায় ইনিংস মেরামতে নামেন ইমন ও তাওহীদ হৃদয়। তাদের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেটে ৩৮ রান তোলে টাইগাররা। তবে ফিফটির দেখা পাননি হৃদয়, ৩৭ বলে ৩৬ রান করে বোল্ড হয়ে ফেরেন। ৮০ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
অন্যপ্রান্তে ধীরে ধীরে ফিফটি তুলে নেন ওপেনার ইমন। শেষদিকে তাকে সঙ্গ দেন জাকের আলী। শেষ পর্যন্ত ১০ বলে ১৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন জাকের। আর ৩৯ বলে ৫৬ রানে অপরাজিত থেকে দলকে সহজ জয় এনে দেন ইমন।
পাকিস্তানের হয়ে ২টি উইকেট শিকার করেন সালমান মির্জা। আর ১টি উইকেট নেন আব্বাস আফ্রিদি।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সুযোগ তৈরি করেছিলেন বাংলাদেশ বোলাররা। ফখর জামানের সহজ ক্যাচ ফেলেন তাসকিন আহমেদ। যদিও নিজের করা ওভারেই সাইম আইয়ুবকে আউট করে সেই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করেন তাসকিন। এরপর দ্রুত উইকেট তুলে নেন শেখ মেহেদী ও তানজিম সাকিব।
পাওয়ার প্লের মধ্যেই ৪১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান। মোহাম্মদ নাওয়াজও রানআউট হয়ে ফিরলে আরও চাপে পড়ে তারা।
এক প্রান্তে ফখর জামান কিছুটা লড়াই করলেও রানআউটে কাটা পড়েন তিনি। এরপর খুশদিল শাহ কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও ইনিংস বড় করতে পারেননি।
১৯তম ওভারে আবারও ঝলক দেখান তাসকিন আহমেদ। প্রথম বলে ফাহিম আশরাফ, পরের বলে রানআউট সালমান মির্জা, তৃতীয় বলে ক্যাচ আউট আব্বাস আফ্রিদি—এক ওভারেই ধসিয়ে দেন পাকিস্তানের শেষ আশা।
সব মিলিয়ে ১৯.৩ ওভারে মাত্র ১১০ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তান।
একুশে সংবাদ/এ.জে