ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জয়ের কৃতিত্ব গড়েছিলেন একজন। তিনি ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কিংবদন্তি মারিও জাগালো। সেলেসাও ৯২ বছর বয়সী এই তারকা মারা গেছেন। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের কাছে দেশপ্রেম, দৃঢ়তা এবং গৌরবের আরেক সমার্থক ছিলেন রেকর্ড পাঁচ ফাইনাল খেলে চারবার বিশ্বকাপ জেতা জাগালো।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) ভোরে এক বিবৃতিতে জাগালোর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) সভাপতি এডনালদো রদ্রিগেজ। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অনেক দুঃখের সঙ্গে আমরা চারবার বিশ্বকাপজয়ী মারিও হোর্হে লোবো জাগালোর মৃত্যুর খবর জানাচ্ছি।’
১৯৫৮ বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিলের সেই দলটির জীবিত একমাত্র সদস্য হিসেবে এত দিন বেঁচে ছিলেন জাগালো। ফুটবল-বিশ্বে ব্রাজিলের বড় শক্তি হিসেবে উঠে আসার পথে অবিস্মরণীয় ভূমিকা ছিল তাঁর। ১৯৫৮ সালে নিজেদের ইতিহাসে প্রথম বিশ্বকাপ জিতে ৮ বছর আগের সেই ‘মারাকানা ট্র্যাজেডি’ মাটিচাপা দিয়েছিল ব্রাজিল।
বেঁচে থাকতে জাগালো মারাকানা ‘দুঃখগাথা’ নিয়ে বলেছিলেন, ‘উরুগুয়ের কাছে সেই দুর্ভাগ্যজনক হারে আমি মারাকানায় ছিলাম। আমি ছিলাম সৈন্যের ভূমিকায়, লোকজনকে মাঠে ঢুকতে না দেওয়া ছিল আমার দায়িত্ব। সেই হারের নিস্তব্ধতা, দুঃখ ও হতাশা আমি কখনো ভুলতে পারব না।’
ব্রাজিল দলে জাগালোর কিংবদন্তি সতীর্থ পেলে গত বছর ডিসেম্বরে পরলোকগমন করেন। ব্রাজিল যে পাঁচটি বিশ্বকাপ জিতেছে তার মধ্যে চারটি শিরোপাই জাগালোর স্পর্শধন্য। অপেশাদার ফুটবল থেকে পঞ্চাশের দশকে উঠে আসা সাবেক এই লেফট উইঙ্গার ব্রাজিলের আক্রমণভাগে সৌন্দর্যের সঙ্গে রক্ষণাত্মক কলাকৌশলও যোগ করেছিলেন।
বোটাফোগো ও ফ্লামেঙ্গোর হয়ে মোট পাঁচবার রিও ডি জেনিরো স্টেট চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী জাগালোর ব্রাজিল দলে অভিষেক ২৬ বছর বয়সে। ১৯৫৮ বিশ্বকাপ শুরুর কিছুদিন আগে জাতীয় দলে অভিষেক হয়। তবে এরপর থেকেই জাতীয় দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছিলেন। ব্রাজিলের হয়ে খেলেছেন ৩৭ ম্যাচ।
একুশে সংবাদ/এস কে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

