নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে চাঁদা দাবির জেরে দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় টেঁটাযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে চারজন টেঁটাবিদ্ধ বলে জানা গেছে।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার দেওলী এলাকায় সংঘর্ষ চলে। আহতদের মধ্যে শিরিন, জুবায়ের, আ. মালেক, রুহুল আমিন, ওমর ফারুক মাকসুদ, আমির হোসেন, রিনা বেগম ও রুনা আক্তার রয়েছেন। অপর গ্রুপের আহতদের মধ্যে পারভেজ, বাসেদ ও নাদিমের নাম জানা গেছে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ঘটনার খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ এবং নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউসার আশা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে আসমা আফরিন বাদী হয়ে বন্দর থানায় মো. সাহিদ (৩২), নাহিদ (৩৪), নাদিম (৩৮), বাসেদ (৫৫), রোমান (৩২), জুয়েল (২৮), পারভেজ (৩০), আল রেখা (৩০), মাহবুব (৩২) ও সুমন (৩৫)-এর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা চিহ্নিত ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজ। ঘর নির্মাণে বাঁধা ও চাঁদা দাবির জেরে তারা হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী এবং বিএনপি নেতা আবুল কাউসার আশা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। স্থানীয় মসজিদের মাইক ব্যবহার করে এলাকাবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, উভয় পক্ষের অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একুশে সংবাদ/এ.জে