উপদেষ্টা পরিষদে গণভোট অধ্যাদেশ অনুমোদন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) উপদেষ্টা পরিষদ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে আইন ও বিচার বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানান, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই উদ্দেশ্যে আগামী সপ্তাহে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা হবে।
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, সরকার তিন থেকে চার কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন প্রণয়ন করবে।
প্রসঙ্গত, ১৩ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছিলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোট আয়োজন করা হবে। তিনি বলেছিলেন, “জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে একই দিনে গণভোট আয়োজন করা হবে। এতে কোনোভাবে সংবিধান সংস্কারের লক্ষ্য বাধাগ্রস্ত হবে না। নির্বাচন আরও উৎসবমুখর ও সাশ্রয়ী হবে। গণভোটের আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় আইন উপযুক্ত সময়ে প্রণয়ন করা হবে।”
গণভোটে অংশগ্রহণকারী ভোটাররা চারটি বিষয়ে একটিমাত্র প্রশ্নে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দিয়ে মতামত জানাতে পারবেন।
সংখ্যাগরিষ্ঠ ‘হ্যাঁ’ ভোটের ক্ষেত্রে নির্বাচিত প্রতিনিধি নিয়ে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠিত হবে। এই প্রতিনিধিরা একইসাথে জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। সংবিধান সংস্কার পরিষদ তার প্রথম অধিবেশন শুরুর তারিখ থেকে ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন করবে। সংবিধান সংস্কার শেষে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সংসদ নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যানুপাতে উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে, যার মেয়াদ হবে নিম্নকক্ষের শেষ কার্যদিবস পর্যন্ত।
একুশে সংবাদ//এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

