যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলমান থাকা অবস্থায় গাজায় সামরিক অভিযান আরও বিস্তৃত করেছে ইসরায়েল। নতুন পরিকল্পনায় গাজা সিটি দখলের প্রস্তুতি নিচ্ছে দখলদার বাহিনী। প্রথম ধাপে জেইতুন ও জাবালিয়া এলাকায় টানা হামলা চালানো হয়, যেখানে একদিনে অন্তত ৮১ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে শাতি শরণার্থী ক্যাম্পে ত্রাণ নিতে যাওয়া কয়েকজন এবং একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া দক্ষিণ গাজায় বাস্তুচ্যুতদের একটি অস্থায়ী তাঁবুতে হামলা চালালে আরও তিনজন নিহত হন।
গত বুধবার (২০ আগস্ট) ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ গাজা সিটি দখলের অনুমোদন দেন। এর পরপরই সেনাবাহিনী ৬০ হাজার রিজার্ভ সদস্যকে ডেকে পাঠায় এবং অতিরিক্ত ২০ হাজার সেনার দায়িত্বের সময়সীমা বাড়ানো হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী পাঁচটি ডিভিশন এই অভিযানে অংশ নেবে।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেইতুন ও সাবরা এলাকায় ভারী গোলাবর্ষণে বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন।
এদিকে নতুন সেনা তলব ও অভিযানের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। ফ্রান্স ও জাতিসংঘ সতর্ক করেছে, এই পদক্ষেপ দুই জাতিকে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলতে পারে। জাতিসংঘ ও রেডক্রস জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চল ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত ভিড় ও বাস্তুচ্যুত মানুষের কারণে সংকটে রয়েছে, সেখানে নতুন করে বিপুল মানুষ স্থানচ্যুত হলে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় তৈরি হবে।
একুশে সংবাদ/আ.ট/এ.জে