AB Bank
  • ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

দক্ষিণ সিরিয়ায় সংঘাতে প্রাণ গেছে প্রায় ৬০০ জনের


Ekushey Sangbad
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১০:৫০ এএম, ১৮ জুলাই, ২০২৫

দক্ষিণ সিরিয়ায় সংঘাতে প্রাণ গেছে প্রায় ৬০০ জনের

মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়া সহিংসতায় প্রায় ৬০০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে প্রায় ৩০০ জনই ধর্মীয় সংখ্যালঘু ড্রুজ সম্প্রদায়ের।শুক্রবার (১৮ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) জানিয়েছে, গত রোববার থেকে সুয়েইদা প্রদেশে শুরু হওয়া ভয়াবহ সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ৫৯৪ জন নিহত হয়েছেন।

এসওএইচআর জানায়, নিহতদের মধ্যে ১৪৬ জন ড্রুজ যোদ্ধা এবং ১৫৪ জন বেসামরিক ড্রুজ নাগরিক। তাদের দাবি, সরকারি বাহিনী সরাসরি ৮৩ জনকে হত্যা করেছে।

এছাড়া সংঘাতে সরকারি বাহিনীর ২৫৭ জন সদস্য এবং ১৮ জন বেদুইন যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। পাল্টা হামলায় ড্রুজ যোদ্ধারা ৩ জন বেদুইন বেসামরিক নাগরিককেও হত্যা করেছে বলে জানায় সংস্থাটি।

আল জাজিরা জানায়, ড্রুজ ও বেদুইন গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ থেকে এই সহিংসতা শুরু হয়।

অন্যদিকে সিরিয়ান নেটওয়ার্ক ফর হিউম্যান রাইটস দাবি করেছে, সংঘাতে ১৬৯ জন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু নথিভুক্ত করেছে তারা।

সিরিয়ার সরকারি হিসাব অনুযায়ী মোট প্রাণহানির সংখ্যা প্রায় ৩০০।

এছাড়া ইসরায়েল ড্রুজদের রক্ষার অজুহাতে সিরিয়ার সেনা অবস্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এতে আরও ১৫ জন সরকারি সেনা নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের ভাষ্য, ড্রুজদের সুরক্ষায় এবং সুয়েইদা থেকে সরকারি বাহিনী সরাতে এই হামলা চালানো হয়।

বৃহস্পতিবার সুয়েইদায় পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত ছিল। সরকারি বাহিনী শহর থেকে সরে গেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শহরে লুটপাট ও ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন স্পষ্ট, রাস্তায় পড়ে আছে মরদেহ।

এর আগে সোমবার থেকে সরকারি বাহিনীর ইসলামপন্থি নেতৃত্বাধীন অংশ সুয়েইদা শহরে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। এতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।

ড্রুজ সম্প্রদায় মূলত শিয়া ইসলাম থেকে উদ্ভূত এক ধর্মবিশ্বাস অনুসরণ করে এবং তারা সরকারবিরোধী অবস্থানে রয়েছে। ড্রুজ নেতা শেইখ হিকমত আল-হাজরি ঘোষণা দিয়েছেন, সুয়েইদাকে সরকারি বাহিনীর ‘গ্যাং’ থেকে মুক্ত না করা পর্যন্ত লড়াই চলবে।

তিনি ইসরায়েলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ড্রুজদের আরেক অংশ ইসলামপন্থি সরকারের সঙ্গে সখ্যতা বাড়াতে চায়।

উল্লেখ্য, ইসরায়েল ও দখলকৃত গোলান মালভূমিতেও ড্রুজদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যা রয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, “ইসরায়েল নিজের স্বার্থ রক্ষায় বলপ্রয়োগ অব্যাহত রাখবে। ড্রুজদের ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেওয়া হবে না।”

 


একুশে সংবাদ/ঢ.প/এ.জে

Link copied!