ইরানের ছোড়া রকেট ও বোমার শার্পনেল ইসরায়েলের অন্তত ১০টি স্থানে আঘাত হেনেছে, এতে কমপক্ষে ১১ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (২১ জুন) রাতে এই হামলা হয় বলে জানিয়েছে তেল আবিবের জরুরি সেবা বিভাগ।
আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের জাতীয় জরুরি চিকিৎসা সেবা সংস্থা মাগেন ডেভিড আদম জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে একজনের শরীরে শার্পনেলের আঘাত লেগেছে এবং বাকি ১০ জন সামান্য আহত হয়েছেন। সবাইকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
আক্রান্ত এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে তেল আবিব, হাইফা, কারমেল এবং উত্তর উপকূলীয় সমভূমি। এসব অঞ্চলে লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
এই হামলা ইরানে মার্কিন বিমান হামলার জবাব হিসেবেই চালানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে একই রাতে মার্কিন বি-টু বোমারু বিমান দিয়ে ইরানের ফোর্দো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়।
এদিকে, মার্কিন কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাটিক নেতা হাকিম জেফ্রিস প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ইরানবিষয়ক পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছেন। শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, "ট্রাম্প কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে এ ধরনের হামলার নির্দেশ দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রকে ভয়াবহ সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।"
জেফ্রিস আরও বলেন, কংগ্রেসের অনুমতি ছাড়া সামরিক হামলা চালিয়ে ট্রাম্প গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অগ্রাহ্য করেছেন এবং কূটনৈতিক বিকল্পগুলোকে সংকুচিত করেছেন।
তবে ট্রাম্প প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ মহল থেকে বলা হচ্ছে, ইরানের বিরুদ্ধে স্থল অভিযানের পরিবর্তে আকাশ হামলাকে নিরাপদ ও কার্যকর কৌশল হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। অতীত অভিজ্ঞতায়—ইরাক ও আফগানিস্তানের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ—মার্কিন প্রেসিডেন্ট এমন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইরাক ও আফগানিস্তানে পরিচালিত অভিযানে প্রায় ৭ হাজার ৮৫ মার্কিন সেনা নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৫৩ হাজার ৫৩৩ জন।
একুশে সংবাদ/ চ.ট/এ.জে