গত ৬০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে ইরান থেকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ‘নেটব্লকস’। খবর আলজাজিরার।
নেটব্লকস-এর তথ্য অনুযায়ী, ইরান এমনভাবে বৈশ্বিক ইন্টারনেট জালে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, যা ২০১৯ সালের পর নজিরবিহীন। সংস্থাটি জানায়, এই সংযোগ বিচ্ছিন্নতার কারণে নাগরিকদের মত প্রকাশ, নিরাপদ যোগাযোগ এবং সময়োপযোগী সতর্কতা পাওয়ার সক্ষমতা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
এই ইন্টারনেট বিভ্রাট সরকারি সিদ্ধান্তের ফলেই ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইরান সরকার বলছে, এটি মূলত ইসরায়েলের সম্ভাব্য সাইবার হামলা থেকে জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার প্রয়োজনে নেওয়া হয়েছে।
নেটব্লকস-এর গবেষণা পরিচালক ইসিক মাতার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “২০১৯ সালের প্রতিবাদের সময় যেভাবে ইন্টারনেট প্রায় পুরোপুরি বন্ধ ছিল, এবার আমরা তার কাছাকাছি একটি পরিস্থিতি দেখছি। ২০২২ সালের মাহসা আমিনি ইস্যুতেও এতটা সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়নি।”
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটিতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের কার্যক্রম সীমিত হওয়ায় ইন্টারনেট বিচ্ছিন্নতার মধ্যে প্রকৃত পরিস্থিতি জানা এবং যাচাই করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতা হলে ইরান সাধারণত ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়। কিন্তু এবার তা এক আন্তর্জাতিক সংঘাতের প্রেক্ষিতে করা হয়েছে, যা পূর্বের ধারার বাইরে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন থেকে ইসরায়েল ইরানের বিভিন্ন স্থাপনায়, বিশেষ করে পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে আসছে। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে তেহরানও। এই পাল্টাপাল্টি হামলায় দুই দেশের বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন।
একুশে সংবাদ/ আ.ট/এ.জে